প্রবারণা পূর্নিমা শেষ হওয়ার সাথে সাথে তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে শুরু হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দানোত্তম কঠিন চীবর দান।
প্রবারণা পূর্নিমা শেষ হওয়ার সাথে সাথে তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে শুরু হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দানোত্তম কঠিন চীবর দান।
অন্যান্য দানের চেয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এ দান সবচেয়ে উত্তম বলে দানোত্তম কঠিন চীবর দান বলা হয়। এ চীবর দান চলবে আগামী একমাস পর্যন্ত। ভগবান বুদ্ধের আমলে পুন্যবতী উপাসিকা বিশাখা প্রথমে এই কঠিন চীবর দান প্রবর্তন করেন।
বৌদ্ধ ভিক্ষদের পরিধেয় কাপড়কে বলা হয় চীবর। বুদ্ধের সময়ে ভিক্ষুদের বর্ষার সময় পরিধেয় চীবরের অভাব দেখা দেয়। এসময় সেবিকা বিশাখা ভিক্ষুদের পরিধেয় কাপড়ের অভাব দূর করার জন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে চীবর তৈরি করে দেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে চরকার মাধ্যমে সুতা কাটা হয়। তারপর সে সুতা সারারাত বুনে ভিক্ষুদের জন্য পরিধেয় কাপড় চীবর তৈরি করা হয়। সারারাত কঠিন পরিশ্রম করে পুন্যার্থীরা ভিক্ষুদের জন্য চীবর তৈরি করেন।
হিংসা, বিদ্ধেষ ভুলে সবাই যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে এই কামনায় হাজার হাজার পুন্যার্থী এ উৎসবে অংশগ্রহন করছে।