পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যেই বর্ষবরণে প্রস্তুত কক্সবাজার। এরইমধ্যে ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। তাদের জন্য নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
অপরূপ প্রাকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগের জন্য অনেকেই ছুটে আসেন কক্সবাজারে। আর, বিশেষ দিনগুলোতে বেড়ে যায় বেড়াতে আসা মানুষের সংখ্যা।
তবে, চলতি মাসে কক্সবাজারে ধর্ষণের ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। তবে, তাতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে বর্ষবরণে পর্যটকদের আগ্রহে ভাটা পড়েনি মোটেও।
দেশিদের পাশাপাশি বেড়েছে বিদেশিদের আনাগোনা। স্থানীয়দের ব্যবহারে খুশি বেড়াতে আসা অনেকে।
পর্যটকরা বলেন, আগের চেয়ে ব্যবস্থাপনায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। কোন ধরনের কোন সমস্যা হচ্ছে না। কোন ধরনের নিরাপত্তাহীনতায়ও ভুগছি না। স্থানীয়রাও অনেক সহযোগিতা করছে।
বেড়াতে আসাদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
কক্সবাজার জোন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, পর্যটকরা যাতে সর্বোচ্চ আনন্দ নিয়ে ভ্রমন করতে পারে সেজন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থাই গ্রহন করেছি। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমাদের টিম সর্বদা সতর্ক রয়েছে।
এবার থার্টি-ফাস্ট নাইটে উন্মুক্ত কোনো আয়োজন না থাকলেও নানা প্রস্তুতি নিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। এখানকার হোটেল-মোটেলগুলোতে অগ্রিম বুকিং হয়েছে শতভাগ।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের মুখপাত্র আবু তালেব বলেন, প্রত্যেক বছর যেভাবে আমরা থার্টি ফার্স্ট উদযাপন করি এ বছর কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। আমরা সরকারের বিধি-নিষেধ মেনেই সব ধরনের উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা আশা করছি যে পর্যটকরা আসবেন তারা হোটেল-মোটেলের ইনডোরে ভালোভাবেই নতুন বছর বরণের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় পর্যটকে মুখরিত হবে সমুদ্র সৈকত এমন প্রত্যাশা কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্টদের।