প্রতিটি চরিত্রের দেখবার পৃথিবী আলাদা। কেউ তোলে সুর, কেউ জানে ভাষা, কেউ বাঁচে অনুরণনে।
কিযী তাহ্নিন এর 'বুধ গ্রহে চাঁদ উঠেছে'র দশটি গল্প। গল্পের ফাঁকে গল্প। চরিত্রের ওপারে অন্য চরিত্র। তারা সবাই তাদের মতন। নিজস্ব। প্রতিটি চরিত্রের দেখবার পৃথিবী আলাদা। কেউ তোলে সুর, কেউ জানে ভাষা, কেউ বাঁচে অনুরণনে। মানুষেরা শুধু চরিত্র হয়ে ওঠেনি গল্পগুলোতে। নিসর্গ স্থান করে নিয়েছে গল্পের ভাঁজে ভাঁজে। তাই বিন্যাকুড়ির তোতামিয়া, লাল সুতা বাধা টিয়া পাখি, হলুদ লাল ছোপের ফিতা সাপ, ব্রহ্মপুত্র কিংবা রূপসা, বিলম্বি গাছ এমনকি নানা রঙের মুখোশও হয়ে ওঠে চরিত্র। নানা ঢঙের চরিত্রেরা মিলে যায় এক সূত্রে এসে-অপেক্ষা। তারা সবাই অপেক্ষায় আছে।
কিযী তাহ্নিন'র বেড়ে ওঠা এক সৃজনশীল পরিবারে। দুই বোনের মধ্যে তিনি বড়। মা গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. জোবায়দা আখতার এবং বাবা বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব খ.ম. হারূন। বাবা-মায়ের পরিচর্যায় খুব ছোটবেলা থেকে তার সৃজনশীল চর্চার প্রতি আগ্রহ জন্মে। লেখালিখি শুরু হয় ইত্তেফাকের শিশুপাতায় কবিতা লেখার মধ্যে দিয়ে, সেই সৃজনশীল লেখার অধ্যাবসায় এবং চর্চা তিনি চালিয়ে যেতে চান। তার লেখা গল্প এবং কলাম প্রকাশিত হয়েছে দেশের এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন স্বনামধন্য পত্রিকা এবং সাহিত্যভিত্তিক অনলাইন প্লাটফর্মে।
২০১৯ সালে কিযী তাহ্নিনের প্রথম গল্পগ্রন্থ 'ইচ্ছের মানচিত্র' এবং ২০২০ সালে দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ 'আছে এবং নাই' প্রকাশিত হয়েছে পাঠক সমাবেশ থেকে। 'আছে এবং নাই' বেস্ট সেলার বই হয় ২০১৯ এ পাঠক সমাবেশ থেকে। এছাড়া বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে তার প্রচেষ্টা ও সফল ভূমিকা নিয়ে 'স্টোরি অফ মাই লাইফ' নামে একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করে। যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রদর্শিত হয়।