জেলার সংবাদ, কৃষি

দিনদিন বাড়ছে কালোজিরা মধুর উৎপাদন

শামীম আহমেদ

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ৩রা এপ্রিল ২০২১ ১১:২০:০৩ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

শরীয়তপুরের জাজিরায় দিন দিন বাড়ছে কালোজিরার মধুর উৎপাদন। এ মধু সুস্বাদু ও উপকারী বলে এখানকার কালোজিরার মধুর চাহিদা রয়েছে দেশের বাইরেও। এতে লাভবান হচ্ছেন মৌ চাষি ও কৃষকরা। এ কারণে জাজিরার কালোজিরার মধু ব্র্যান্ডিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এক সময় মৌয়ালদের মধু সংগ্রহে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো শরীয়তপুরের জাজিরার কৃষকরা। সময়ের পরিবর্তনে সেই কৃষকরাই এখন নিজ জমির পাশে মৌচাকের বাক্স বসানোর সুযোগ দিয়েছে।

মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে অনুকূল পরিবেশ থাকায় জাজিরায় কালোজিরা উৎপাদন ও ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য ২০১৭ সালে ঘোষণা দেয় প্রশাসন। এরপর থেকেই উপজেলায় বাড়তে থাকে কালো জিরার আবাদ।

বর্তমানে জাজিরাতে ৯৫০ হেক্টর জমিতে কালোজিরার আবাদ করা হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক ও প্রাকৃতিকভাবে মৌমাছির পদচারণায় পরাগায়ন বেশি হওয়ায় ফসল উৎপাদন হচ্ছে বেশি। এ কারণে কালোজিরা ফুল থেকে মধু সংগ্রহে মৌ চাষিদের ভাড়া দিয়েছে কৃষকেরা।

এ মধু অত্যন্ত সুস্বাদু ও উপকারী বলে দেশ ও দেশের বাইরে চাহিদা বাড়ছে। নানা সমস্যা কাটিয়ে এ পেশায় এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস মৌয়ালদেরও। মৌয়াল হিসেবে পরিচয়পত্র পাওয়ার দাবি তাদের।

ভেজালমুক্ত কালোজিরার মধু বাজারজাত ও ব্র্যান্ডিং এর লক্ষ্যে কৃষক, মৌয়াল ও ক্রেতাদের নিয়ে সচেতনতামূলক 'মৌ উৎসব' এর আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিস। ন্যায্যমূল্যে খাঁটি মধু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।

বর্তমানে এ উপজেলা থেকে ১৫ থেকে ২০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ করছে মৌয়ালরা। আগামীতে ৭০ থেকে ৮০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের জন্য কাজ করছে জেলা প্রশাসন।

জাজিরা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, 'ফ্রধান উদ্দেশ্য মানুষকে মধু খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন করা এবং চাষাবাদ সম্পর্কে মানুষের যে ভুল ধারণা তা দূর করা।'

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুজ্জামান ভুইয়া জানান, 'দেড় কোটি টাকার বাজার রয়েছে, ১৫ কোটি টাকায় এর বাজার উন্নীত করার লক্ষ্য। কালোজিরার যে মধু এটাকে আমরা ব্র্যান্ডিং করতে চাই।'

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ পারভেজ হাসান বলেন, 'ঋণ নিয়ে কৃষকের পাশেেও যারা মার্কেটিংয়ের কাজ করবেন তাদের প্রণোদনা দিয়ে পাশে দাঁড়াতে চাই। ভোক্তার কাছে কৃষকের কাছে ন্যায্যমূল্যে যেন পণ্যটি আমরা পৌঁছে দিতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করছি।'

এ বছর জাজিরায় ২২ জন মৌয়ালের ৪ হাজার ২শ' বাক্সের মধু সংগ্রহ হলেও আগামী শীত মৌসুমে ১০ হাজার বাক্সের মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন