ধরুন, আপনি একটি রেস্তোরাঁয় গেলেন, কিংবা একটি বারে। সেই বারে প্রতিটি টেবিলের সামনে রয়েছে একটি করে অক্সিজেন মাস্ক, আপনি সেখানে ঢুকেছেন মূলতঃ কিছুক্ষণ অক্সিজেন খাওয়ার উদ্দেশ্যে। শুনতে মনে হয় যেন কোন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর দৃশ্য!
তবে ভারতের রাজধানী দিল্লীতে আপনি বাস্তবেই দেখতে পাবেন এই দৃশ্য।
দিল্লীতে দূষণের মাত্রা বেড়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে এটা কোনো নতুন খবর নয়। তবে দূষণের প্রকোপ থেকে বাঁচতে ‘অক্সিজেন বার’গুলোতে ২৯৯ রুপিতে পাওয়া যাচ্ছে বিশুদ্ধ অক্সিজেন, তা-ও আবার বিভিন্ন সুগন্ধীতে!
ভারত বা উপমহাদেশের জন্য ধারণাটা নতুন হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিনোদন ও অ্যারোমাথেরাপি চিকিৎসা, উভয় কাজেই অক্সিজেন বার ব্যবহার হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকারক উপাদান এবং ব্যাকটেরিয়া প্রশমন হয়ে থাকে।
ভারতের ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস অনলাইনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের মে মাসেই দিল্লীর সাকেট এলাকায় ‘অক্সি পিওর’ নামে একটি অক্সিজেন বার চালু করেন আরিয়াভির কুমার নামে এক ব্যক্তি। এই বারে প্রতি ব্যবহারকারীর জন্য ১৫ মিনিট বিশুদ্ধ অক্সিজেন সেবনের ব্যবস্থা রয়েছে। অক্সিজেনের সঙ্গে সাত রকমের ফ্লেভারের ব্যবস্থাও রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে পুদিনা, দারচিনি, কমলা, লেমনগ্রাস, ইউক্যালিপ্টাস, ল্যাভেন্ডার প্রভৃতি। ফ্লেভার অনুযায়ী দাম শুরু হয়েছে ২৯৯ রুপি থেকে।
এই বারের কর্মীদের প্রধান বনি আইরেংবাম বলেন, একটি নিয়ন্ত্রিত বায়ুচাপে ক্রেতাদের একটি নলের মাধ্যমে তাদের পছন্দসই ফ্লেভারের অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। একজন ক্রেতা দিনে একবারই অক্সিজেন সেবনের সুযোগ পান।
অক্সিজেন সেবনের বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে। শরীরে রক্তসঞ্চালন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। এছাড়া বিশুদ্ধ অক্সিজেন সেবনে মানসিক স্বাস্থ্যেরও বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। এ মাধ্যমে বিষণ্ণতা এবং রক্ত থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিকও দূর হয়। এছাড়া এতে স্নায়ু শিথিল হয় এবং মাথাব্যথা হয় এমন স্বাস্থ্যসমস্যা প্রতিরোধ হয়।
বনি আইরেংবাম জানান, আগামী ডিসেম্বর মাসে দিল্লী এয়ারপোর্টে ‘অক্সি পিওর’র আরেকটি শাখা চালু হবে।