চলমান শুদ্ধি অভিযানে দুর্নীতির অভিযোগ আসা ব্যক্তির তালিকায় প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন নাম।
সোমবার দুদকের প্রকাশিত নতুন তালিকায় সরকার দলীয় চারজন সংসদ সদস্য ছাড়াও এক ডজনের বেশি সরকারি আমলা রয়েছেন। আছেন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্যবিদায়ী দুই শীর্ষ নেতা।
এছাড়া ছাত্রলীগের অপসারিত দুই শীর্ষ নেতা শোভন-রাব্বানী, সাবেক নেতা নাজমুল, বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানসহ দেড় শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
বিএফআইইউ ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে দুদক। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে রবিবার ১০৫ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয় দুদক।
নতুন তালিকায় রয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী (শোভন), সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগ গোলাম রাব্বানী ও নাজমুল আলম সিদ্দিকী।
আছেন বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও নাদিম। আছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ, সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরী, সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী এমপি, কমলাপুর আইসিডি’র কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত কমিশনার মো. মাহমুদুল হাসান, সহকারী কমিশনার কানিজ ফারহানা শিমু, আবুল কাশেম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা তুহিনুল হক, ঢাকা দক্ষিণ ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ওরফে ম্যাজিক রতন, ৩৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঈনুল হক মঞ্জু।
সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে তালিকায় রয়েছেন গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে, আবদুল হাই, হাফিজুর রহমান মুন্সী, নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল হক মধূ, শওকত উল্লাহ, ফজলুল হক, রোকন উদ্দিন, আফসার উদ্দিন, স্বপন চাকমা, ইলিয়াস আহমেদ ও তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল মোমিন চৌধুরী, সাজ্জাদ, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার সিনিয়র সহকারী প্রধান মুমিতুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আকবর সরকার।
যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি সারোয়ার হোসেন মনা, যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন স্বপন, নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, মিজানুর রহমান মিজান, ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি এসএম রবিউল ইসলাম সোহেল, যুবলীগ নাখালপাড়া-তেজগাঁও শাখার কাজল, মেসার্স জামাল এন্ড কোং এর ঠিকাদার জামাল হোসেন, আফসার উদ্দিন মাস্টার, আয়েশা আক্তার, শামীমা সুলতানা, শেখ মাহাম্মুদ জুনায়েদ, এসএম আজমুল হোসেন, ব্রজ গোপাল হালদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার, শরফুল আওয়াল, মগবাজার টিএন্ডটি কলোনীর জাকির, নয়াটোলার সেন্টু, শোভন, বাড্ডার নাসির, বনানী গোল্ড ক্লাবের আবদুল আওয়াল, আবুল কাশেম, ওয়ান্ডার্স ক্লাবের আবুল কালাম, শিক্ষা অধিদপ্তরের ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, পদ্মা এসোসিয়েটস ইঞ্জিনিয়ার্সের ঠিকাদার মিনারুল চাকলাদার, সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান, যুবলীগের গাজী সারোয়ার বাবু, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্সের ঠিকাদার রেজোয়ান মোস্তাফিজ, বান্দরবানের সিলভান ওয়াই রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন মন্টু, এমডি ফজলুল করিম চৌধুরী স্বপন, পরিচালক এম মহসিন, উম্মে হাবিবা নাসিমা আক্তার, জিয়াউদ্দিন আবীর, জাওয়াদ উদ্দিন, জিকে শামীমের সহযোগী জিয়া, নাঈম, ৪১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তাবিবুল হক তামিম, শাহেদুল হক, তার স্ত্রী সারিনা তামান্না হক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক কেএম মাসুদুর রহমান, তার স্ত্রী লুৎফুন্নাহার লুনা, বাবা আবুল খায়ের খান, মা রাজিয়া খান, যুবলীগ দক্ষিণের সহসভাপতি মুরসালিক আহমেদ, তার স্ত্রী কাওসারী আজাদ, বাবা আবদুল লতিফ, মা আছিয়া বেগম, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা কামরান প্রিন্স মোহাব্বত, যুবলীগের আকিয়ার রহমান দীপু, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান হোসেন খান, কেন্দ্রীয় সদস্য হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক তসলিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কায়সার আহমেদ, যুবলীগ উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পী, খাদ্য পরিদর্শক খোরশেদ আলম।
আরো আছেন ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাশেদুল হক ভুইয়া, ৪১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাতেনুল হক ভুইয়া, মো. জহুর আলম, হারুনুর রশিদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মোমিনুল হক সাঈদ, কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি ও কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজ, যুবলীগের বহিস্কৃত দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিস, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, তারিকুজ্জামান রাজিব, মোহামেডান ক্লাবের পরিচালক লোকমান হোসেন ভুইয়া, অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধান।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলছেন, অনুসন্ধানের আওতায় যারা আছেন তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ চলছে। অনুসন্ধানে আরও নতুন নাম যোগ হতে পারে বলে জানালেন দুদক সচিব।