জেলার সংবাদ

ধান কাটা, মাড়াই ও বিক্রিতে ব্যস্ত কৃষক

আবু বকর

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ৫ই মে ২০২১ ০৭:৪০:২৩ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বোরো ধান কাটা, মাড়াই ও বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পিরোজপুর, কুমিল্লা, যশোর ও নড়াইলের কৃষকেরা।

অনুকূল আবহাওয়া ও পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় এবার ফলন হয়েছে ভালো। তবে বাজারে ধানের দাম ও শ্রমিক সংকটে চিন্তিত তারা।

উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের অধিকাংশ মাঠজুড়ে এখন সোনালী ধান। প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকেরা। অনুকূল আবহাওয়া ও রোগবালাই কম হওয়ায় বোরো ধানের ফলনে খুশি কৃষকেরা। মৌসুমের শুরুতে ৮শ টাকার ওপরে প্রতি মণ ধান বিক্রি হলেও, এখন তা ৭শ' টাকার নিচে নেমে এসেছে। মিল মালিকরা পর্যাপ্ত ধান না কেনায় দাম কমেছে বলে দাবি কৃষকদের।

এক কৃষক বলেন, 'ধানের দাম যদি এক হাজার বা তার বেশি হয় তাহলে আমরা একটু সুবিধা পাই। মিল মালিকেরা ধান না কেনায় ধানের দাম কম।'

চাষিরা যাতে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে পারে এজন্য তাদেরকে সার্বিক সহায়তা করা হচ্ছে উল্লেখ করে পিরোজপুরের কৃষি কর্মকর্তা শিপন চন্দ্র ঘোষ বলেন, 'কৃষকরা যেন ধান ভালো দামে বিক্রি করতে পারে সেই ব্যবস্থা  আমরা করছি। এক হাজার ৮০ টাকা মন ধানের দাম নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি।'

এ বছর পিরোজপুরের ৭ টি উপজেলায় ২৪ হাজার ৫৩৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। কুমিল্লাতেও বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে করোনায় কঠোর বিধিনিষেধের কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। ধান কেটে দিতে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন উপজেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো।

এদিকে, এ বছর কুমিল্লায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। ধান কাটার শ্রমিক সংকটে যশোরের চাষিরাও। এ কারণে মজুরি বেড়ে যাওয়ায় বিঘাপ্রতি তিন থেকে চার হাজার টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে তাদের।

এক কৃষক বলেন, 'এখন শ্রমিক তো পাওয়া যায়না, যে দুই একজন পাওয়া যায় তাদরেও মুজুরি অনেক।'

কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটাসহ নানা ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে উল্লেখ করে যশোরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাদল চন্দ্র সরকার বলেন, 'শ্রমিকের উপর বড় ধরনের চাপ পড়ছে। একসাথে সব কাজ করতে হচ্ছে তাদের।'

চলতি মৌসুমে যশোরে ১ লক্ষ ৫৮ হাজা ৮৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নড়াইলে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। এবছর জেলায় আবাদ হয়েছে ৪৮ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬শ হেক্টর বেশি।

আরও পড়ুন