কম বেশি পৃথিবীর সব দেশই খেলার ধারাবিবরণী দেয় নিজেদের ভাষায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রচারে ইংরেজি প্রাধান্য পেতে পারে ঠিকই তবে একই সাথে ব্যবস্হা থাকে নিজ ভাষায় ধারাবিবরণীর। বাংলাদেশ যেন ব্যতিক্রম। ধারাভাষ্যে ইংরেজিরই প্রাধান্য। আবার বাংলা ধারাভাষ্যেও সমান তালে চলে বাংলিশ কথাবার্তা। ভাষ্যকাররা বলছেন ভাঙতে হবে এই প্রথা।
স্টার ম্পোর্টস। চ্যানেলর খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশে বসে হয়তো আপনি স্টার স্পোর্টস বাংলা দেখতে পারেন না। তবে, বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য ওদের কিন্তু ঠিকই আছে আলাদা চ্যানেল, যেখানে ধারাভাষ্য থেকে সবই হয় বাংলায়। আমাদের দেশে সে সুযোগ কই? কেন বাংলা ধারাভাষ্যে আমাদের অনীহা...
ভাষ্যকার আলফাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের যারা নাগরিক তাদের অধিকার রয়েছে যে ইভেন্টটা বাংলাদেশে হচ্ছে সেই ইভেন্টটা বাংলায় শোনার অধিকার তাদের রয়েছে। এ কথা ভুলে গেলে চলবে না।
ভাষ্যকার সাথিরা জাকির জেসি বলেন, সব থেকে বড় কথা আমাদের মাতৃভাষা আমি বাংলাভাষায় যতো স্বস্তিদায়ক, আমি যতই ইংলিশ মিডিয়ামে পরিনা কেন, আমি ইংলিশে যতই ভাল হইনা কেন? আমি কিন্তুু আমার মনের কথাটা যেভাবে প্রকাশ করতে পারবো সটা কিন্তুু ইংরেজিতে প্রকাশ করতে পারবো না।
রেডিও-টেলিভিশন সম্প্রচারের মাধ্যম যাই হোক...বাংলা ধারাভাষ্যেও অহেতুক টেনে আনা হয় ইংরেজি। পাশের দেশ ভারতেও এ ব্যাপারে আছে দিক নির্দেশনা।
ভাষ্যকার সাথিরা জাকির জেসি আরো বলেন, আমরনা কলকাতায় যেটা করি, আমরা মুম্বাইয়ে যা করি সেটা 6 বলছিনা আমরা কিন্তু ছয় বলছি। আমরা চারটাকে চার বলছি।
বহু ত্যাগে অর্জিত মাতৃভাষা বাংলার সর্বত্র প্রচলনে শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলেও চলবে না। খেলার জগতের লোকজন বলছেন এ উদ্যগো এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে। ।