নাটোরের বিভিন্ন এলাকায় লাম্পি স্কিন নামে এক ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু। যার চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছেন খেটে খাওয়া স্বল্প আয়ের মানুষ।
নাটোরের ৭টি উপজেলায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই গরু লালন পালন করা হয়। অনেকে এই গরু লালন পালন করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। হঠাৎ করেই গ্রামের প্রায় সব গৃহস্থের বাড়িতেই গরুর শরীরে দেখা দিয়েছে এক ধরনের চর্ম রোগ। এতে, আক্রান্ত গরুর চামড়া গুটি গুটি হয়ে ফুলে যায়। পরে, গুটিগুলো ঘায়ে পরিণত হয়।
প্রত্যন্ত এলাকায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব হওয়ায় সরকারি কোন চিকিৎসকের পরামর্শও মিলছে না। এরইমধ্যে, জেলার লালপুর-বাগাতিপাড়ায় অনেক কৃষকের গরু মারাও গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, এমন সমস্যার মুহূর্তে তারা পাশে পাচ্ছেন না প্রাণিসম্পদ অফিসের কাউকে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় মশা-মাছি থেকে এই ভাইরাসজনিত রোগ দেখা দিয়েছে। খামার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও গরুর জন্য মশারি ব্যবহার করে গরুকে এ রোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
এ রোগের কোন ভ্যাকসিন না থাকায় আক্রান্ত গরু সুস্থ্ হতে সময় বেশি লাগে। লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে তাই কৃষকদের আরও বেশি সচেতন হবার পরামর্শ দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।