নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঘাটতি হবে পেস বোলিং অলরাউন্ডার। এই জায়গাটাতেই ঢের এগিয়ে থাকবে ব্লাকক্যাপস, মনে করেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। সুযোগ কাজে লাগালেই কেবল এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন পাইলট।
ঠিক দুই বছর পর আবারো কিউই পাখির দেশে উড়াল দিয়েছে টাইগাররা। একে তো বিরুদ্ধ কন্ডিশন, তার উপর ক্রাইস্টচার্চ হামলার সেই ভয়াবহ সুঃস্মৃতি। বর্তমানে কোভিডের কড়া প্রটোকল তো আছেই, যোগ হয়েছে সাকিব ইস্যুতে বোর্ড-ক্রিকেটারদের মধ্যে মনোস্তাত্বিক দন্দ্ব। টিম টাইগার্সের এবারের সফরটা সত্যিই কঠিন!
নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে খাবি খেতে হয় বড় দলগুলোকে। তবে পরিস্থিতি বদলে গেছে, আধুনিক ক্রিকেটে হোম অ্যাডভান্টেজ বলতে এখন আর তেমন কিছু নেই। রঙিন পোশাক মানেই তো এখন গ্লোবাল ভিলেজ। সেটারই সুযোগ নিতে হবে বাংলাদেশ দলকে।
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ম্যাচ খেলার আগে তারা কিন্তু অনেক টাইম পাবে প্র্যাকটিসের জন্য। এসব উইকেটে কিন্তু অনেক তাড়াতাড়ি খাপ খাওয়ানো যায়। তাই যে প্লেয়ারগুলো আছে যদি ভালো পারফর্ম করি যে কেউ ম্যাচ জিততে পারে।
সেই ১৯৯০ থেকে নিউজিল্যান্ডের সাথে মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। জয়-পরাজয়ের পাল্লাটা ভাড়ি কিউইদেরই। ঘরের মাটিতে জয় আছে ৭টা.. তবে ব্লাকক্যাপদের ঘরে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি টাইগাররা।
শর্টার ফরম্যাটে আরো নাজেহাল অবস্থা। সবমিলিয়ে সাত টি টোয়েন্টির সবগুলোতেই হার বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড অনুযায়ী একটা জায়গায় বেশ ঘাটতি টাইগারদের। তবে এখনকার বাংলাদেশ দল আরো শক্তিশালী.. আশাবাদি সবশেষ ট্যুরে দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট। তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের মত উইকেটে খেলতে গেলে ভালো পেসার এবং অলরাউন্ডার দরকার। ওদের দলে কিন্তু দশ নাম্বারে নেমেও অনেকে খুব ভালো ব্যাটিং করে থাকে, ওরা কিন্তু আবার ভালো বোলারও। এই জায়গাগুলোতে আমরা কিন্তু অনেক পিছিয়ে আছি।
দলের নেতৃত্ব পাওয়ার পর তামিম ইকবালের প্রথম অ্যাওয়ে সিরিজ। নয়া কাপ্তানের হাত ধরে নিউজিল্যান্ডের গেড়ো কাটাতে পারবে কি টিম টাইগার্স!