চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে প্রায় ৩ হাজার মরদেহ গ্রহন করেছে ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ড।
প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ জন অভিবাসী শ্রমিকের মরদেহ দেশে ফিরছে। নির্যাতিতদের নিথর দেহ দেশে ফিরলেও নির্যাতনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন কালো তালিকা বা ব্ল্যাকলিস্ট রাখছে না প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কিংবা দূতাবাসগুলো। ফলে, নির্যাতনকারী একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে বারবার নির্যাতিত হওয়ার সুযোগ থাকছে বলে মনে করে রিক্রুটিং সংস্থাগুলোর সংগঠন বায়রা।
গত ২৭শে অক্টোবর সৌদি আরব থেকে ২৪ ঘন্টায় দেশে ফিরে ৩৭৩ জন অভিবাসী। এসবের সুনিদিষ্ট কোন তথ্য যেমন প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়ে নেই। তেমনি কতজন নির্যাতিত হয়ে দেশে ফিরছেন তারও সঠিক হিসাব নেই দূতাবাসগুলোতে। নির্যাতিতদের অনেকেরই অভিযোগ প্রবাসী কর্মীদের নির্যাতনের বিষয়ে অনেকটাই উদাসীন থাকে দূতাবাসগুলো।
বিভিন্ন সময়ই গনমাধ্যমগুলো ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ওঠে আসছে নির্যাতনের গল্প। গত ২৭শে অক্টোবর, সৌদি থেকে নির্যাতিত হয়ে ফিরে নাজমা বেগমের নিথর দেহ।
এদিকে, প্রতারক কোম্পানী ও এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে প্বার্শবর্তী দেশ ভারতও বিভিন্ন সময় সতর্কবার্তা দিয়েছে গনমাধ্যমে। গেল মে মাসে, কুয়েতের ১১০টি প্রতারক কোম্পানীকে কালো তালিকাভুক্ত ভারতীয় দূতাবাস। কিন্তু, বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর তেমন কোন পদক্ষেপ নেই। মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো নির্যাতিত ও প্রতারক কোম্পানীগুলোর এমন তালিকা করলে নির্যাতন অনেকাংশে কমে যেতো বলে মনে করে বায়রা।
এদিকে, কালো তালিকা তৈরী ও নির্যাতিতদের শাস্তির বিষয়ে কোন পদক্ষেপের কথা জানাতে পারেনি সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস।
নির্যাতনের বিষয়ে সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর আইন আরও কঠোর হলেও জোরালো পদক্ষেপের অভাবে নির্যাতনকারীদের স্থানীয় আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছেনা বলে মনে করেন অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা।