দুধ সাদা টুপি হোক বা হাল্কা বাদামি ওভারকোট, রানী এলিজাবেথের পোশাকে পশুর লোম বা ‘ফার’ এত দিন বেশ পরিচিত উপাদান ছিল। পশুর পশমের তৈরি পোশাক আর পরবেন না ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
পশুর পশমের তৈরি পোশাক আর পরবেন না ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। দুধ সাদা টুপি হোক বা হাল্কা বাদামি ওভারকোট, রানী এলিজাবেথের পোশাকে পশুর লোম বা ‘ফার’ এত দিন বেশ পরিচিত উপাদান ছিল। তবে বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রানীর নতুন কোন পোশাকে আর ফার ব্যবহার করা হবে না। শীতের পোশাকে প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে নকল ফার। দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট পত্রিকা জানায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'তবে রাজকীয় অনুষ্ঠানে রানী পশমের তৈরী পোশাক পরবেন। বিশেষ করে রাষ্ট্রিয় অনুষ্ঠান জন্য যে পোশাকগুলো বিশেষভাবে পশমের তৈরি সে গুলোই শুধু পরবেন রানী।'
রানীর এ সিদ্ধান্তে খুশি বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন। পেটা-ইউকে জানিয়েছে, ব্রিটেন যে সব ফারের পোশাক বিক্রি হয়, তার ৮৫ শতাংশ আসে বিদেশ থেকে। অত্যন্ত নৃশংস ভাবে মারা হয় সেই সব পশুকে। 'এই সিদ্ধান্তের জন্য রানীকে আমাদের অভিবাদন।' ‘হিউমেন সোসাইটি’ নামে একটি সংস্থার ডিরেক্টর ক্লেয়ার বাসের কথায়, 'রানীর এই সিদ্ধান্তের পরে আশাকরি সবাই বুঝবেন যে, ফার মানেই ফ্যাশনদুরস্ত নয়।'
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্যাশন লেবেল ইতিমধ্যেই পশম বা ফারের ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। এই সব সংস্থার মধ্যে রয়েছে প্রাদা ও গুচি। মার্কিন সংস্থা মেসি’জ জানিয়েছে, ২০২০ অর্থবছরের মধ্যে তাদের সব দোকানে ফারের জিনিস বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হবে। সপ্তাহ দুয়েক আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফর্নিয়া রাজ্যে ফারের জিনিসের উৎপাদন ও বিক্রি বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গ্রাহ্য হবে বলে ঘোষণা করা হয়।