উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ১ম লেগে পিএসজিকে ২–১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পথে এগিয়ে গেল ম্যানচেস্টার সিটি। পিএসজির হোমগ্রাউন্ড পার্ক দো প্রিন্সেস থেকে জয় নিয়ে ফেরে সিটিজেনরা।
ইংলিশ লিগ কাপের শিরোপা জেতার পর ম্যানচেস্টার সিটির লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। অন্যদিকে, কোয়ার্টারের শেষ লেগে ঘরের মাঠে বায়ার্নের কাছে হারে এবার তাই ফাইনালে উঠার পথ মসৃণে হোম ম্যাচের সুবিধা নেওয়ার টার্গেটে ছিল গেলবারের রানার আপ প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। ইউরোপিয়ান ফুটবলের দুই পাওয়ার হাউসের ট্রফি উইনিং লিস্টে গন্ডায় গন্ডায় লিগ ট্রফি থাকলেও ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জেতা হয়নি কখনো। গেলবার বায়ার্নের কাছে হেরে শিরোপা ছোঁয়া হয়নি প্যারিসিয়ানদের। এবার কোয়ার্টারেই বায়ার্নকে হটিয়ে শোধ নেয়া হলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের জন্য সিটিজেনদের মুখোমুখী মাওরিসিও পচেত্তিনোর ছেলেরা।
আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে লড়াইটা বেশ জমে। ম্যাচের শুরুতেই এমবাপ্পের বাড়ানো বল নিয়ে পিএসজির হয়ে প্রথম আক্রমণটা করেন নেইমার। কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হয় এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। তবে বেশক্ষিণ অপেক্ষা করতে হয়নি পিএসজিকে। ম্যাচের ১৪ মিনিটের মাথায় ডি মারিয়ার কর্ণার থেকে হেডে মার্কিনিয়োসের গোলে নিজেদের ডেরায় শুরুতেই সিটিজেনদেরকে কঠিন বার্তা দেয় পিএসজি। প্রথমার্ধের বাকি আর ৫ মিনিট, ডি বক্সের ভেতরে আবারো মিস নেইমারের। বিরতির আগে পিএসজির ডি-বক্সে ফাকায় বল পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন ফিল ফোডেন। এক গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ফরাসিরা।
এরপর সেকেন্ড হাফে ডি ব্রুইনের দারুণ ক্রসে বল সবার ওপর দিয়ে গিয়ে জালে জড়ায়। সমতায় ফেরে ম্যানসিটি। একটু পরেই ডি বক্সের সামনে থেকে নেওয়া রিয়াদ মাহরেজের ফ্রি কিকে বল লাফিয়ে ওঠা রক্ষণ প্রাচীরে কিম্পেম্বে ও লেয়ান্দ্রো পারেদেসের মাঝ দিয়ে জাল খুজে পায়। ছয় মিনিট পর ইদ্রিসা গেয়ির লাল কার্ডে ১০ জনের দল হয়ে যায় পিএসজি। এতে পিএসজির ওপর চাপ ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে সিটির জয়রথ হলো আরও দীর্ঘ। চ্যালেঞ্জের বাকিটা এবার ঘরের মাঠে। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের ওঠার স্বপ্নে ফিরতি লেগের লড়াইয়ে নামবে তারা। অন্যদিকে, অ্যাওয়ে ম্যাচে দারুণ ছন্দে আছে পিএসজিও।