পেঁয়াজের ব্যবহার কমিয়ে, পেঁয়াজহীন রেসিপির নিরীক্ষা চালিয়ে, রন্ধন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার পরামর্শ রন্ধনশিল্পী আর পুষ্টিবিদদের।
বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ। তার প্রভাব পড়েছে নিম্ন আর মধ্যবিত্তের রান্নঘরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রন্ধনশিল্পীরা পরামর্শ দিচ্ছেন পেঁয়াজ ছাড়া রান্নাবান্নার।
দৈনিক আয় দুশো থেকে তিনশো টাকা। আর, পেঁয়াজের কেজি আড়াইশো ছাড়িয়ে। এতো দামের পেঁয়াজ কিনলে, চাল, ডাল, তেল-নুন কিনবে কি দিয়ে? প্রশ্ন নিম্ন আয়ের মানুষের। তাই, আপাতত রান্নার আয়োজন থেকে পেঁয়াজকে দূরে রেখেছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা।
একই হিসাব ঝালমুড়ি বিক্রেতারও, এতো দামের পেঁয়াজ দিয়ে ১০টার মুড়ি বিক্রি পোষায় না বলে, ঝালমুড়িতে বাদ পড়ছে পেঁয়াজ। অস্বাভাবিক দামের কারণে চিত্র পাল্টেছে মধ্যবিত্তের রান্নাঘরেও। পেঁয়াজ ছাড়া রান্নার অভ্যাস গড়ে না ওঠলেও, পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন বহুলাংশেই।
তবে, পেঁয়াজ ছাড়াও যে কোন মুখরোচক রান্না সম্ভব, জানান রন্ধনশিল্পীরা। সেইসঙ্গে বাতলে দিচ্ছেন, বিকল্প রেসিপিও। আর, বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা থেকে পেঁয়াজ বাদ পড়লে, পুষ্টিগুনে কোন তারতম্য ঘটবেনা। অতিরিক্ত পেঁয়াজ খাওয়ার কারণে হতে পারে বদহজম আর আলসারের মতো রোগ। বরং, পেঁয়াজ বেশি খাওয়ার ক্ষতিকর দিক তুলে ধরছেন তারা।