গাজীপুরের প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনকে তারই আরেক সহকর্মী প্রকৌশলী ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুরো বিষয়টি তদারকও করেন ওই সহকর্মী প্রকৌশলী। আর এতে সহযোগিতা করেন এক গাড়িচালক। গ্রেপ্তার প্রকৌশলী, গাড়িচালকসহ ভাড়াটে খুনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তবে কি নিয়ে দুই প্রকৌশলীর মধ্যে বিরোধ ছিলো তা পরিষ্কার করেনি পুলিশ।
গত ১১ই মে খুন হন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ৭ এর নির্বাহী পরিচালক দেলোয়ার হোসেন।
তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জোগাড় করে পুলিশ। এসব ফুটেজে দেখা যায়, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনের পল্লবীর বাসার তিন থেকে চারশ মিটার দূরে সাদা একটি মাইক্রোবাস থেকে নামেন দুই ব্যক্তি। যাদের একজনের পরনে সাদা পিপিই আরেকজন প্যান্ট শার্ট পরা।
পিপিই পরা লোকটি একটি রিকশা থামিয়ে চালকের ফোন থেকে কাউকে কল করার চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ পর আরেকটি রিকশা থামিয়ে রিকশাচালকের মোবাইল নিয়ে কল করতে সক্ষম হন। ৩-৪ মিনিট পর রিকশাচালকের মোবাইলে ফোন এলে দ্রুত জায়গা ত্যাগ করেন ওই দুইজন।
ফুটেজে থাকা সাদা পিপিই পরা লোকের সঙ্গে আকৃতির মিল পেয়ে দেলোয়ারের সহকর্মী প্রকৌশলী সেলিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রিকশাচালকও শনাক্ত করেন তাকে। জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম জানান, বিভিন্ন বিষয়ে দেলোয়ারের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিলনা। তাই খুনি ভাড়া করে হত্যা করা হয়েছে তাকে। আর এতে সহযোগিতা করেন গাড়িচালক হাবিব।
দেলোয়ারকে হত্যার পর কিলার শাহীনকে ৫ হাজার আর গাড়িচালক হাবিবকে ১২ হাজার টাকা দেয় প্রকৌশলী সেলিম। এরই মধ্যে হাবিব ও কিলার শাহীন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।