বৃষ্টির কারণে ফরিদপুরে দেশি পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এই মৌসুমে। বেশ কয়েকবার চাষ করেও জমিতে পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা।
তবে কৃষি অধিদপ্তর বলছে, দেরিতে হলেও এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
ফরিদপুরে তিন ধরনের পেঁয়াজের চাষ হয়ে থাকে। মুড়ি কাটা, হালি এবং বীজতলা পেঁয়াজ। সাধারণত হালি পেঁয়াজের আগে বাজারে আসে মুড়িকাটা পেঁয়াজ। আর এ মুড়িকাটা পেঁয়াজ একমাত্র ফরিপুরেই আবাদ হয়ে থাকে।
কিন্তু এবার বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে মুড়িকাটা পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। তাই হালি পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত দেশি পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা কম।
পেঁয়াজ চাষিরা জানান, এই বছর দুই-তিনবার পেঁয়াজ লাগিয়েও বৃষ্টি আর বন্যার কারণে পঁচে যাওয়ায় পেঁয়াজ তুলতে পারেননি তারা।
তবে বৃষ্টির কারণে আবাদ একটু দেরিতে হলেও এ বছরের লক্ষ্য পূরণে দেরি হবে না বলে আশা কৃষি বিভাগের।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তি বলেন, "এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে এবং অক্টোবর মাসে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়াতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠতে একটু দেরি হচ্ছে। সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা হচ্ছে যাতে দ্রুত যাতে আবাদ করা যায়।"
স্থানীয় কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গত বছর ৩৫ হাজার দুইশ ৫০ হেক্টর জমিতে চার লাখ ৪৭ হাজার ৪৩ মেট্রিকটন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। এরমধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ হয়েছিল পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে।