বহুল আলোচিত রাজনীতিবিদ ফেনীর জয়নাল হাজারী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত হওয়ার পর তিনি ডিবিসি নিউজকে বলেছেন, এটা দলের জন্য তার দীর্ঘদিনের ত্যাগ ও আনুগত্যের মূল্যায়নের ফল।
তিনি আরো বলেছেন, শুদ্ধি অভিযান শেষে দলীয় প্রধান দায়িত্ব দিলে ফেনীর রাজনীতির হাল ধরতেও রাজী তিনি।
সোমবার সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জয়নাল হাজারীর হাতে তুলে দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত হওয়া বিষয়ক চিঠি।
বিভিন্ন কারণে ফেনী ছাড়িয়ে আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল হাজারীর পরিচিতি সারাদেশে। তবে ২০০৭ সালের এক এগারোর পর থেকে দলে নিস্ক্রিয় তিনি।
তবে জয়নাল হাজারী বলেন, “এই দলের জন্য অনেক ত্যাগ করেছি, অনেক সংগ্রাম করেছি। বলা যায়, যুদ্ধ করেছি। মুক্তিযুদ্ধও করেছি। অনেক জেল-জুলুম খেটেছি। তারই স্বীকৃতি হিসেবেই, দীর্ঘদিন পর যদিও, অনেক দিন পর নেত্রী এটার স্বীকৃতি দিলেন।“
রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন কি না জানতে চাইলে বলেন বয়স হয়েছে তারপরেও ইচ্ছা আছে। ফেনীর রাজনীতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে জয়নাল হাজারী জানান- সারাদেশের রাজনীতির চেয়ে ফেনীর রাজনীতি আলাদা। তবে দল প্রধান চাইলে তিনি ফেনী আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী।
“ফেনীতে যেই অবস্থা চলছে, অরাজকতা। এটাকে আমি কিছুটা পরিবর্তন করতে পারি কি না দেখব। কেন না বলা হচ্ছে উপদেষ্টারা গণভবনে যেতে পারলে নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আর কার্ড-টার্ড, অনুমতি লাগে না, সরাসরি ঢুকতে পারে। তাহলে যখন যেখানে যা হবে উনাকে জানাবো।“
তিনি জানান, এক এগারোর পর থেকে একটি চক্র তার বিরোধীতা করে আসছে। যার কারণে তিনি অনেকটা রাজনীতির আড়ালে চলে যেতে বাধ্য হন।
“কিছু লোক আছে বিতর্ক সৃষ্টি করার, তারা বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। যেমন, একটা কঠিন বিতর্ক, যেটা আমার পুরো জীবনটাকেই উলট-পালট করে দিয়েছে, দীর্ঘ ২০ বছর থেকে আমার শত্রুরা একচেটিয়া বলে এসেছে, আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে গত মাস পর্যন্ত, সবসময় বলে এসেছে। ফলে আমি কোথাও তেমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িতই হতে পারি নাই। “
ফেনীর আলোচিত এই রাজনীতিবিদ সরাসরি অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে। ৭৫’এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করে কারাবন্দীও হন তিনি।
সেই সময়ের কথা স্মরণ করে জয়নাল হাজারী বলেন, “সেখানে প্রায় ৬০-৭০ জন নেতাকর্মীদের মধ্যে সবাই বলেছে আমরা বন্ড দিয়ে বের হবো। আমি একমাত্র বলেছি, না, আমি বন্ড দিয়ে বেরুবো না। “