বাংলাদেশ, জাতীয়, অর্থনীতি, জেলার সংবাদ, রাজধানী, কৃষি

বছরে ২৫০ থেকে ৪০০টি ডিম খাওয়া উচিত

আনোয়ার হোসেন

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ১০ই অক্টোবর ২০১৯ ১০:০১:১৮ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

চীনে প্রায় ৫ লাখ লোকের ওপর এক গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রতিদিন একটা করে ডিম খেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমতে পারে।

আগামীকাল (শুক্রবার) বিশ্ব ডিম দিবস। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথম ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালনের আয়োজন করে, যা পরবর্তী সময়ে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার পালিত হয়ে আসছে।
 
বাংলাদেশে ২০১৩ সাল থেকে প্রথমবারের মতো ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালন করা হয়। সেটি ছিল ১৮তম বিশ্ব ডিম দিবস। সেই থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশে বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে।

কম খরচে বেশি পুষ্টির উৎস ডিম। দেশে এখনো পূরণ হয়নি মাথাপিছু ডিমের চাহিদা। সুস্থ সবল থাকতে একজন ব্যাক্তিকে বছরে ২৫০ থেকে ৪০০টি ডিম খেতে হবে বলে মনে করেন পুষ্টি বিশ্লেষকরা।

যদিও বিশ্বখাদ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বছরে বাংলাদেশে মাথাপিছু ডিম খাওয়ার হার ১০০টির নিচে। এদিকে, বিশ্লেষকরা বলছেন, সুস্থ সবল জাতি গঠনে ডিম খাওয়ার এ গড় নিতে হবে বছরে ২৫০ থেকে ৪০০টিতে। তবে, বাংলাদেশে বছরে গড়ে ডিম খাওয়ার হার ৯০ থেকে ৯৫টি।

এখন বেশিরভাগ ডাক্তারই স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় ডিম রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা বলছেন, বেশিরভাগ পুষ্টিকর উপাদান প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হল ডিম।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিজ্ঞান ও ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক বেগ বলেন, 'সুস্থ থাকার জন্য ডিম খাওয়া উচিত। মানুষের প্রতিদিন অন্তত ১টি ডিম খাওয়া দরকার বলেও মত তার।'

তিনি আরও বলেন, 'মুরগির একটি ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ্। এছাড়াও ডিমে আছে লুটেইন ও যিয়াস্যানথিন নাম দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা বৃদ্ধ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে ও মানব শরীরের জন্য নানা প্রয়োজনীয় উপাদান। 

এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে তৈরি হতো ডিমের বাড়তি চাহিদা। আর, এই চাহিদা পূরণে পোল্ট্রি শিল্পেও আসতো ব্যাপক পরিবর্তন।

পোল্ট্রি শিল্পে সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংক ঋণে চড়া সুদ আর সরকারের যথাযথ নীতির অভাবে বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারগুলো।

এ অবস্থায় স্বল্প আয়ের মানুষের পুষ্টি চাহিদাপূরণে ডিমের উৎপাদন বাড়াতে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিলেন পোল্ট্রিখাত সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন