ব্যাপক সহিংসতার মধ্য দিয়ে চলছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ শুরুর পর দুপুরে সহিংসতায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে দায়ী করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী বিজেপির পক্ষ নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের।
হামলা, সংঘর্ষ আর ভাঙচুরে উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ। বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে কোচবিহারের শীতলকুচিতে বুথের সামনে পুলিশের গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা তৃণমূলের কর্মী বলে দাবি করেছে দলটি। তাদের অভিযোগ, বিজেপির হয়ে কাজ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
একই জেলায় শালবাড়িতে বুথের সামনে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ১৮ বছরের এক যুবক মারা গেছে। আনন্দ বর্মণ নামের ওই যুবক বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
চুঁচড়ায় বিজেপী প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ওপর হামলা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তার ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে, তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার চালাচ্ছিলেন লকেট।
এদিকে, বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। কোচবিহার এবং হাওড়ার গোলমোহর রেলওয়ের মাঠে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ ঠেকাতে লাঠিচার্য করে পুলিশ। কসবায় বুথে সিপিএম এজেন্টের চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাচনি সহিংসতায় হতাহতের ঘটনার জন্য মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুপুরে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির জনসভায় তিনি অভিযোগ করেন মমতার উস্কানিতেই এসব সহিংসতা হয়েছে।
সকাল ৭টায় রাজ্যে চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬৪ জন প্রার্থী।