ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার মাঝেই ছড়িয়ে পড়েছে বড়দিনের উৎসবের রঙ।
বড়দিন ঘিরে বিশ্বজুড়ে প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। ঘরে ঘরে রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জার পাশাপাশি কেক, পুডিং আর বিশেষ খাবার তৈরির মধ্য দিয়ে চলছে বড়দিনকে স্বাগত জানানোর আয়োজন।
রাত পোহালেই বড়দিন। বিশ্বজুড়ে শিশুদের নানা উপহার দিতে উত্তর মেরু থেকে যাত্রা শুরু করেছেন সান্তা ক্লজ। তাকে স্বাগত জানাতে চোখ ধাঁধাঁনো আলোকসজ্জা ও ঝলমলে আলোয় ঘর সাজিয়েছেন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা।
বড়দিন উপলক্ষ্যে ব্রাজিলের রিওতে বিশালাকৃতির ভাসমান ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে। এছাড়া রয়েছে জমকালো আতশবাজির আয়োজন।
প্যারিসও উৎসবমুখর রূপ নিয়েছে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নামীদামী ব্র্যান্ডের শোরুমগুলো আকর্ষণীয় রূপে সেজেছে।দর্শণার্থীদের জন্য বিশেষ সব আয়োজন রয়েছে হোটেলগুলোতে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বরফের গোলকধাঁধাঁ তৈরি করা হয়েছে। গোলকধাঁধাঁ ঘুরে দেখার পাশাপাশি, ছবি তোলার মধ্য দিয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন দর্শণার্থীরা।
বড়দিনের আমেজে মেতে উঠেছে ভারতের বিভিন্ন স্কুলের শিশুরাও। আয়োজন করা হয়েছে মেলা আর সংগীতানুষ্ঠান। শপিং সেন্টারগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। স্যান্তা ক্লজের পোশাকে প্যারেডে অংশ নিয়েছে শিশুরা।
পোল্যান্ডে রুটি জাতীয় বিশেষ খাবার জিঞ্জারব্রেড দিয়ে ঘর, টাওয়ার, দুটি ট্রেন এবং একটি উইন্ডমিল তৈরি করে, ছোট একটি শহরের আদলে সাজানো হয়েছে।
বড়দিন উপলক্ষ্যে থাইল্যান্ডে শিশুদের মাঝে উপহার বিলিয়ে দেয় লাল সাদা পোশাক পরা হাতিরা। মাহুতরাও ছিল সান্তা ক্লজের চিরাচরিত পোশাকে। উপহার পেয়ে উৎসবের আনন্দে মেতে উঠে শিশুরা।