পূর্বের স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে গোপনে তিন বিয়ে করায় শাশুড়ির দায়ের করা মামলায় পুত্রবধুর দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার, (৬ নভেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারিক আদালত তিন এর বিচারক এ.এস.এম এমরান এ রায় দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফেনী শহরের রামপুর এলাকার হাফেজ উকিল বাড়ির মজিবুল হকের ছেলে জিয়াউল হক বাবলু কলেজে পড়ার সুবাদে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় সদর উপজেলার উত্তর শর্শদি গ্রামের ডিপটি বাড়ির রকিবুল হায়দারের মেয়ে তানজিলা হায়দারের সাথে। প্রেম সম্পর্কের এক মাসের মধ্যে তানজিলা তাড়াহুড়ো করে বাবলুকে বিয়ের করতে বাধ্য করে।
একপর্য়ায়ে কাউকে না জানিয়ে গোপনে গত ২০১৫ সালের ১৭ আগষ্ট তানজিলা ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে বাবলুকে বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন পর বাবলু তার স্ত্রী তানজিলাকে ঘরে তুলে নেন। ঘরে তুলে নেয়ার কিছুদিন পর বাবলু উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য জাপান চলে যায়। এরপর বেপরোয়া হয়ে উঠেন বাবলুর স্ত্রী তানজিলা।
তার আচার-ব্যবহার সন্দেহজনক হলে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেন বাবলুর মা ছালেহা বেগম। খোঁজ নিয়ে দেখেন তার ছেলের বউ তানজিলা আগে আরো দুই বিয়ে করেছেন। গত ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর শর্শদী ইউনিয়নের কাজী অফিসে তানজিলাকে ৬ লাখ টাকা দেনমোহর বিয়ে হয় চৌদ্দগ্রামের গুণবতি বাজার এলাকার ঝিগড়া গ্রামের মাবুদুল হকের ছেলে মো: আবদুল্লাহ আল মামুন বিয়ে করে।
আদালত সূত্র জানায়, ঘটনার পর বাবলুর মা ছালেহা বেগম বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। প্রায় দুই বছর পর মামলার দীর্ঘ কার্যক্রম শেষে গতকাল আদালত তানজিলা হায়দারকে দন্ডবিধির ৪২০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।