শক্তি আরও বাড়িয়ে অতি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে বুলবুল।
শনিবার বিকেল নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এ নিয়ে উপকূলীয় জেলাগুলোতে জোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এসব এলাকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। গঠন করা হয়েছে মেডিক্যাল টিম।
পটুয়খালীতে সভা করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলার ৪০৩টি সাইক্লোন সেন্টার। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। পর্যাপ্ত শুকনো খাবারের পাশাপাশি একশ মেট্রিকটন চাল, দুই লাখ পচাত্তর হাজার টাকা তিন হাজার ৫শটি কম্বল, ১শ ৬৬ বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ করা হয়েছে।
ভোলায় জরুরি সভা করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। জেলা প্রশাসক জানান, ৬৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। গঠন করা হয়েছ ৯২ টি মেডিকেল টিম। প্রস্তুত ১৩ হাজার সেচ্ছাসেবী। মজুদ রয়েছে পর্যপ্ত ত্রাণ। করা হচ্ছে মাইকিং।
বাগেরহাটে বাতিল করা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি। প্রস্তুত করা হয়েছে ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র। নয় উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্টোল রুম। জরুরি সেবায় প্রস্তুত থাকছে রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার কয়েক শত স্বেচ্ছাসেবক। এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে জেলার রাশ মেলা।
পিরোজপুরের ২২২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য থাকবে আলাদা মেডিক্যাল টিম। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
সাতক্ষীরায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র। গঠন করা হয়েছে ৮৮টি মেডিক্যাল টিম। সাধারণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য করা হচ্ছে মাইকিং।বরগুনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি সভা করা হয়েছে। খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র ও কন্ট্রোল রুম।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খুলনা, বরিশালসহ উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগ মোকাবিলায় নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বন্দরে খেলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম।