মিটিং-মিছিলে না গেলে টর্চার সেলে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করা হতো শিক্ষার্থীদের।
শেরে বাংলা হলের ২০০৫ ও ২০১১ নম্বর কক্ষ। অভিযোগ উঠেছে, কক্ষ দুটি ছিল ছাত্রলীগের টর্চার সেল। এর আগেও, এই দুই কক্ষে একাধিক শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। শুধু টর্চার সেল নয়, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের মিছিল বা অনুষ্ঠানে অংশ না নিলে কিংবা রাজনৈতিক বড় ভাইদের কথা না শুনলে নির্যাতনের শিকার হতে হতো। তবে, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বলছেন, এ বিষয়ে জানতেন না তিনি।
আবরারের মৃত্যুর পরে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ছবি ও ভিডিও নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। আলোচনায় আসে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের কক্ষ দু'টি। ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা নানা নির্যাতনের অভিযোগ তোলে ছাত্রলীগের দিকে। আবরারের আগেও ২০১১ নম্বর কক্ষটি ছিল নানান কারণে পরিচিত।
বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০০৫ রুমকে টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে, ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও শিক্ষার্থীরা জানান, চড়-থাপ্পড় এমনকি লোহার রড় দিয়ে পেটানো হত তাদের। এসব নির্যাতনের সবই হতো বিশ্ববিদ্যালয় আবরার হত্যার এজহারভুক্ত আসামি ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের নির্দেশে। উপস্থিত থাকতেন ২০০৫ নম্বর রুমের আবাসিক ছাত্রলীগ নেতা।
তবে, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার জামিউস সানী বলছেন, নির্যাতনের অভিযোগ আসলে আরও আগেই ব্যবস্থা নেয়া যেত। এদিকে, এ বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কয়েক দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল হলে নির্যাতন বন্ধ। নির্যাতনের পাশপাশি বুয়েটে ক্যাম্পাসে বাজে নজীর রেগিং। তা বন্ধের দাবিতে সোচ্চার ছিল শিক্ষার্থীরা।