সরকার নির্ধারিত মূল্যে পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না রাজধানীর কারওয়ানবাজারে। বিক্রেতারা বলছেন, লোকসান দিয়ে এমন দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব নয়। এদিকে, সরকারের তৎপরতার পরেও দাম না কমায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে, আগামী দুই সপ্তাহের আগে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
সরবরাহ সংকটের অজুহাতে রাজধানীর বাজারে এখনো চড়া দামে বিকোচ্ছে সব ধরণের পেঁয়াজ। কারওয়ানবাজারে পাইকারিতে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।
কারওয়ানবাজারে পাইকারিতে পেঁয়াজের দর সরকার ১০০ টাকা বেঁধে দিলেও বেশিরভাগ বিক্রেতাই তা মানছে না। দেখাচ্ছেন নানা অজুহাত। এদিকে, রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজারে খুচরায় দেশি পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি। মিশরীয় ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক কম।
তবে, আগামী দুই সপ্তাহের আগে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসার সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। দেশি পেঁয়াজ বাজারে এলে কমতে শুরু করবে পেঁয়াজের দাম।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, 'আমাদের নিজেদের উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে ঢোকা দরকার। আর মিশর থেকে যে পেয়াজটা আনা হচ্ছে সেটা বাজারে ঢুকলেই পেঁয়াজের দাম কমবে। সেটা বাজারে আসতে খুব বেশি যদি সময় লাগে তো বড়জোর দুই সপ্তাহ।'
বাণিজমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, মিয়ানমার, মিশরসহ বেশ কটি দেশ থেকে ইতোমধ্যে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে চাহিদা বেশি থাকায় দাম কমতে সময় লাগছে।