এবার দিনাজপুরে বোম্বাই লিচুর গাছে মুকুল না আসায় হতাশ লিচু ব্যবসায়ীরা। তবে, মাদ্রাজি ও বেদনাসহ অন্যান্য জাতের লিচু গাছে মুকুল এসেছে স্বাভাবিক নিয়মেই। চাষিরা বলছেন, গত বছর অতি বৃষ্টির কারণেই এমনটা হয়েছে। এ কারণে মৌসুমি লিচু ব্যবসায়ীরাও ফিরে যাচ্ছেন।
প্রতি বছর এ সময়টাতে দিনাজপুরের লিচু গাছ মুকুলে মুকুলে ভরে যায়। কিন্তু এবার একটু ব্যতিক্রম। বোম্বাই জাতের লিচু গাছগুলো মুকুলের বদলে নতুন পাতায় ছেয়ে আছে। এতে হতাশ লিচু বাগানীরা।
জেলায় সবচেয়ে বেশি আবাদ হয় এই বোম্বাই জাতের লিচু। কিন্তু গাছে গাছে মুকুলের এমন অবস্থা দেখে ফিরে যাচ্ছেন মৌসুমি লিচু ব্যবসায়ীরা। বাগান মালিকরা বলছেন, গত বছর অতিবৃষ্টির কারণে গাছে সময়মতো নতুন পাতা না গজানোয় এখনো মুকুল আসেনি।
তবে মাদ্রাজি লিচুসহ বেদানা, চায়না থ্রি ও কাঠালী জাতের লিচু গাছে মুকুল এসেছে স্বাভাবিক নিয়মেই। মৌসুমের শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনের আশা বাগানীদের।
বোম্বাই জাতের লিচু গাছে এখনও মুকুল না আসার কথা জানিয়ে কৃষি কর্মকর্তরা বলছেন, অন্যান্য জাতের লিচুর ফলন গতবারের চেয়ে বেশি না হলেও কম হবে না।
দিনাজপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ বলেন, 'বোম্বাই লিচুর গাছে ফুুলের সমাবেশ কম এসেছে। গড়পড়তা আমরা ধারণা করতে পারি এবার ফলন বেশি না হলেও কম হবে না।'
দিনাজপুরে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে নয়শ'র মতো লিচু বাগান রয়েছে।