করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ‘জনতা-কারফিউ’র পর ২১ দিন লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মঙ্গলবার (২৪শে মার্চ) ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে এ ঘোষণা দেন। বুধবার (২৫শে মার্চ) মধ্যরাত থেকে ভারতের প্রতিটি রাজ্যে ও জেলায় লকডাউন কার্যকর হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী তিন সপ্তাহ ভারতজুড়ে লকডাউন থাকবে। যদি আমরা এই ২১ দিনকে সামলাতে না পারি তাহলে দেশ ২১ বছর পিছিয়ে যাবে। অনেক পরিবার চিরকালের জন্য ধ্বংস হয়ে যাবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, আপনাদের পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে অনুরোধ করছি, এই তিন সপ্তাহ বাইরের জীবন ভুলে যান। এই সময়ে যে যেখানে রয়েছেন, সেখানেই থাকুন। প্রতিটি ভারতীয়, প্রত্যেক পরিবারকে বাঁচানোই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোদী বলেন, কিছু মানুষের ভুল সিদ্ধান্তের ফলে বহু মানুষের জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে। কিছু মানুষ ভাবছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা শুধুমাত্র আক্রান্তদের জন্যই প্রয়োজন, এই ধারণা ভুল। প্রত্যেক পরিবারের জন্য এই দূরত্ব প্রয়োজন। করোনা থেকে বাঁচার আর কোনও উপায় নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিশ্বব্যাপী মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার একটাই উপায়, তা হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। করোনাভাইরাস এতো দ্রুত হারে বাড়ছে যে, সব রকম ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে মজবুত করতে ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। এতে আইসোলেশন বেড, আইসিইউ, ভেন্টিলেটরের সংখ্যা বাড়ানো যাবে। এরই সঙ্গে মেডিক্যাল এবং প্যারামেডিক্যাল প্রশিক্ষণের কাজও গতি পাবে।
ভারতে এ পর্যন্ত ৫১৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।