যাত্রীরা চাইলে টিকেটের টাকা ফেরত দিতে প্রস্তুত বিমান কর্তৃপক্ষ।
ভিসা হলেও দেশের প্রায় ১০ হাজার ওমরাহ যাত্রী এখন বিপাকে। সেসঙ্গে প্রায় ৫ হাজার টিকেট কাটা হয়েছে বিমানের। ওমরাহ এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার সৌদি আরবের আকস্মিক সিদ্ধান্তে বেকায়দায় পড়েছে হজ এজেন্সিগুলো। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস আতংক না কমলে মূল হজ কার্যক্রমেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- হাব।
বৃহস্পতিবার সকালে, সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওমরাহ পালনে নিষেধাজ্ঞা দেয়। ফলে বিমানবন্দরে গিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে গমনেচ্ছুদের। কোনও রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ৫টি ফ্লাইটের কমপক্ষে এক হাজার যাত্রী সৌদি আরব যেতে পারেননি।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত দশ হাজার ওমরাহ যাত্রীর প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। ভিসা, বিমানের টিকিট , সৌদিতে থাকার হোটেল সহ অর্থ বাবদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এরই মধ্যে। ওমরাহ যাত্রীরা শেষ পর্যন্ত যেতে না পারলে যাত্রীদের পাশপাশি এজেন্সিগুলিও ক্ষতির মুখে পড়বে। হাব বলছে, করোনা আতংকে ব্যাহত হতে পারে মূল হজ কার্যক্রমও।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, হাবের সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, করোনাভাইরাসে বিশ্বের অনেক দেশ আক্রান্ত।এছাড়া মিডল ইস্টের অনেক দেশও আক্রান্ত। এর প্রকট যদি আরও বাড়তে থাকে তাহলে বড় হজেও এর প্রভাব পড়বে।
এয়ারলাইন্সগুলো বলছে, সৌদি সরকারের এ সিদ্ধান্তের কারণেই ওমরাহ যাত্রীদের ফ্লাইটে নেয়া সম্ভব হয়নি। যাত্রীরা চাইলে টিকেটের টাকা ফেরত দিতে প্রস্তুত বিমান কর্তৃপক্ষ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন বলেন, যাত্রীরা যদি তাদের টাকা ফেরত নিতে চায় তাহলে আমরা তা দিতে প্রস্তুত। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর যদি সিট থাকে তাহলে আমরা আবার হজ ফ্লাইট চালু করবো।
প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ মানুষ ওমরাহ করতে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যান। এর সাথে দেশের হজ এজেন্সিগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সও সরাসরি সম্পৃক্ত। লেনদেন হয় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। ওমরাহ যাত্রীদের সমস্যা সমাধানে সব পক্ষকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, এই ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বও অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই ক্ষতি থেকে পরিত্রান পাওয়াটাই এখন আমাদের লক্ষ্য।