জাতীয়, প্রবাস

ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসে ২৭ বাংলাদেশি অভিবাসী; দখলের অভিযোগ

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ৭ই জুলাই ২০২০ ০৭:১১:০২ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে কথা বলেন ২৭ বাংলাদেশি কর্মী।

কয়েকজন বাংলাদেশি অভিবাসী ভিয়েতনামে বাংলাদেশের দূতাবাস দখলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর অভিবাসীরা বলছেন, তারা প্রতারণার শিকার হয়ে প্রতিকারের জন্যই দূতাবাসে অবস্থান নিয়েছেন। তারা সেখান থেকে ডাকসুর ভিপি নূর পরিচালিত একটি ফেসবুক পেজে লাইভ করে অভিযোগ তুলে ধরেন। তাই ওই ঘটনায় নুর জড়িত বলেও অভিযোগ ওঠেছে। যদিও নুর বলছেন, এটা নতুন মামলা দেয়ার পায়তারা।

শুক্রবার ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে কথা বলেন ২৭ বাংলাদেশি কর্মী। তারা তাতে মানবপাচারকারী দালালদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলে ধরেন। 

সোমবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে দূতাবাস দখলের অভিযোগ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, দূতাবাসের অ্যাম্বাসেডর এবং কাউন্সিলর একটি কাজে যখন ব্যস্থ ছিল তখনই ২৭ জন প্রবাসী দূতাবাসটি দখল করে নেয়। তারা লাইভে এসে তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠানোর দাবি জানায়।তাদেরকে বলা হয়েছে ফ্লাইট পাঠানো হয়েছে কিন্তু তারা বলে ওই ফ্লাইটে যাবে না।তারপর অনেক বাক বিতন্ডার পর তাদেরকে একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিনও অভিবাসী অধিকার পরিষদ নামের একটি ফেসবুক পেজে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন কয়েকজন অভিবাসী।

এই পেজটি কোটা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রধান ও ডাকসুর ভিপি নুর ও তার সহযোগীরা পরিচালনা করেন। এ সূত্রে ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসে কয়েকজন কর্মীর অবস্থান নেয়ার পেছনে ভিপি নুরের উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

ভিপি নুর বলেন, তাদেরকে ভিয়েতনামে পাঠিয়ে ৬ মাস কোন কাজে যুক্ত করেনি এবং নানা ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে।তখন তারা বুঝেছে যে এরা মানব পাচারকারী। তখন তাদেরকে আটক করে রেখেছিল।এরপর ৩ জুলাই দুপুর ১২টায় তারা ওই জায়গা থেকে পালিয়ে দূতাবাসে অবস্থান নেয়। তারা সেখানে সহযোগিতা চেয়েছিল। ভিপি নুরের দাবি, তার বিরুদ্ধে নতুন কোন মামলা সাজাতেই উদ্দেশ্যেমূলকভাবে এই অপবাদ দেয়া হচ্ছে।

তবে ভিয়েতনামে আটকা পড়া ২৭জন অভিবাসীকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি প্রবাসী কল্যাণ কিংবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন