ভ্রমণ, জেলার সংবাদ

ভোলা-ঢাকা নৌরুটে আসছে দ্রুতগতির জাহাজ

শামীম আহমেদ

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ৭ই নভেম্বর ২০১৯ ১২:০২:৩৫ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

খুব শীঘ্রই ভোলা-ঢাকা রুটে চালু হতে যাচ্ছে ক্যাটাম্যারান টাইপের চেয়ার সিস্টেম দ্রুতগতির জাহাজ সার্ভিস।

এই রুটে জাহাজ চালানোর জন্য ইতিমধ্যে 'গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজ' কোম্পানিকে অনুমোদন দিয়েছে বি.আই.ডব্লিউ.টি.সি। এ সার্ভিস চালু হলে খুব কম সময়ে ঢাকা পৌঁছানোর পাশাপাশি, দিনের বেলায় নৌপথে রাজধানী যাওয়ার সুযোগ পাবে ভোলাবাসী। তাই, গ্রীন লাইন জাহাজ সার্ভিস চালু হলে ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ভোলা-ঢাকা নৌরুটে জাহাজ চালানোর জন্য গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজে'র বিআইডব্লিউটিসি'র কাছে অনুমতি চেয়েছিলো। এ মাসের মধ্যেই এ সার্ভিস দুটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজের দ্রুতগামী জাহাজ সার্ভিসটি প্রতিদিন ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট এবং ঢাকা সদরঘাট থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় ছেড়ে যাবে। এতে করে দিনের বেলায় যাতায়াত করতে পারবে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জেলার মানুষ। এ সার্ভিসের জন্য খুব শীগ্রই বিআইডব্লিউটিএ নতুন একটি টার্মিনাল স্থাপন করবে।

এদিকে, গ্রীন লাইনের দ্রুতগতির এই জাহাজ সার্ভিস শুরু হলে সময় অনেক কম লাগবে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিটিএ উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান। তিনি আরও বলেন, ভোলার খেয়াঘাট থেকে ঢাকার নৌপথের রুটে দুরত্ব ১৫৫ কিলোমিটার। সেখানে লঞ্চ যোগে যেতে সময় লাগে ১১ঘন্টা। কিন্তু, গ্রীন লাইন জাহাজ সার্ভিস যাবে ইলিশা ঘাট থেকে, সেখানে ৩০ কিলোমিটার কমে গিয়ে দাঁড়াবে ১২৫ কিলোমিটারে। তাই, লঞ্চ থেকে কমপক্ষে ৪/৫ ঘন্টা সময় কম লাগবে।

অন্যদিকে, ভোলা-লক্ষীপুর দুরত্ব ২৬ কিলোমিটার। সেখানে মজু চৌধুরীর ঘাট থেকে মতিরহাট এলাকায় ফেরীঘাট স্থাপন করা হলে সেখানে দুরত্ব কমে যাবে ১২ কিলোমিটার। এতে করে ফেরিতে সময় লাগবে এক ঘন্টায়।

উল্লেখ্য, রাজধানীর সঙ্গে ভোলার নৌপথে যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম নৌযান। প্রতিদিন জেলা সদরসহ জেলার সাত উপজেলা থেকে ১৪টি লঞ্চ যাচ্ছে। একইভাবে আসছেও ১৪টি। উভয় স্থান থেকে রাতেই এসব লঞ্চ চলাচল করছে এবং ভোরে গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছায়। নৌযানের উপর নির্ভরশীল এ অঞ্চলের যাত্রীরা।

যাত্রীরা জানান, লঞ্চের পাশাপাশি দিনের বেলায় গ্রীন লাইন চালু হলে একদিকে যেমন যোগাযোগ মাধ্যম সহজ হবে অন্যদিকে সময়ও বাঁচবে।

আরও পড়ুন