বরই চাষ করে ভাগ্যবদল করেছেন মানিকগঞ্জের দুলাল হোসেন। কৃষিজমি ভাড়া নিয়ে ১০ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন বরই বাগান। নিজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সৃষ্টি করেছেন কর্মসংস্থানের।
অর্থনৈতিক অনটনের কারণে এইচএসসির গণ্ডি পেরোতে পারেন নি সদর উপজেলার উকিয়ারা গ্রামের দুলাল হোসেন। প্রথমে ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু করলেও এখন তার বরই বাগান বিস্তৃত হয়েছে ১০ বিঘা জমিতে।
৯৮ সালের বন্যার পর ১০০টি চারা দিয়ে শুরু করা বাগানে এখন রয়েছে প্রায় ৮শ' গাছ। প্রতিকেজি বরই বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৫০ টাকা দরে। প্রতি মৌসুমে সব খরচ বাদ দিয়ে আয় হয় প্রায় ৫ লাখ টাকা।
বাগান মালিক দুলাল হোসেন বলেন, প্রথমে ২ বিঘা দিয়ে শুরু করি তারপর ৪ বিঘা পরে আস্তে আস্তে বেড়েছে এখন আমার ১০ বিঘা বরইরের বাগান। ভবিষ্যতে যদি সরকারি কোন লোন পাই তাহলে বড় করে বাগান করার ইচ্ছা আছে।
দুলালের বরই বাগানে স্থায়ীভাবে কাজ করেন ৮ থেকে ১০ জন শ্রমিক। তার সাফল্যে বরই বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই।
বাগানের কাজ করা এক শ্রমিক বলেন, ১৮-২০ বছর ধরে কাজ করি আল্লাহ এই টাকা দিয়েই আমার সংসার চালায় নেয়। আমরা এখানে অনেকেই আছি আর এই করেই আমাদের সংসার চলছে ইনশাআল্লাহ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সাজাহান আলী বিশ্বাস বলেন, 'দুলাল হোসেনের যে সমস্যা তার অর্থনৈতিক একটু সমস্যা আছে। এ বিষয়ে লোন দেবার সুযোগ আছে সে চাইলে আমরা তাকে ঋণের ব্যবস্থা করে দিতে পারবো।'
স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা হলে ভবিষ্যতে বরই বাগানটিকে আরো বড় করার প্রত্যাশা দুলাল হোসেনের।