দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে কারণে-অকারণে লোকজনের বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। সড়ক-মহাসড়কে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা চলাচল। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেউ নিয়ম না মানলে তার বিরুদ্ধে দেয়া হচ্ছে মামলা ও অর্থদণ্ড।
কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে ময়মনসিংহ শহর ও অভ্যন্তরীণ সড়কে মানুষের চলাচল অনেকাংশে বেড়েছে। বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা চলাচলও। মূল সড়কগুলোতে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও অলিগলিতে সব কিছুই খোলা। এ কারণে নিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দেয়া হচ্ছে মামলা ও অর্থদণ্ড।
এদিকে, সিলেটে রাস্তাঘাটে জনসমাগম ও যানবাহন চলাচল বেড়েছে। উপজেলা পর্যায়ে কিছুটা ঢিলেঢালা থাকলেও শহরাঞ্চলে তৎপর রয়েছে প্রশাসন।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। যারা অকারণে বাইরে বের হয়েছে তাদেরকে ফিরেয়ে দেয়া হচ্ছে। নগরীর মূল সড়কগুলোতে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও অলিগলিতে দোকানপাট খোলা রয়েছে।
এছাড়া, রাজশাহীতে রাস্তাঘাটে যানবাহন ও মানুষের চলাচল কম। সুস্পষ্ট কারণ দেখাতে না পারলে ফেরত পাঠানোসহ জরিমানা করা হচ্ছে।
আর, খুলনায় জনসমাগমের সঙ্গে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যাও। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।
এদিকে নাটোরে দোকানপাট, শপিং মল এবং বাস-ট্রেন বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত যানবাহন, মোটরসাইকেল, ছোট ছোট যানবাহন চলাচল বেড়েছে।
তাছাড়া, গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দিনা চৌরাস্তা ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় দূরপাল্লার যানবাহন না চললেও ছোট ছোট যানবাহন, অটোরিকশা, ভ্যান, প্রাইভেটকারে চলাচল করছে মানুষ।