আন্তর্জাতিক, অন্যান্য

মিশরে ফেলনা জিনিসের শিল্পকর্মে ব্যতিক্রমী কর্মশালা

মুহাম্মদ খালেদ হাসান

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ২১শে জুলাই ২০২০ ০৯:০৬:১৭ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ফেলনা জিনিস দিয়ে শিল্পকর্ম তৈরির কর্মশালা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মিশরের দুই তরুণ শিল্পী। আবর্জনা ভেবে ফেলে দেয়া জিনিসপত্রও যে হতে পারে সৌন্দর্য্য বাড়ানোর অন্যতম উপাদান, তারই প্রমাণ দিলেন তারা।

প্লাস্টিকের বোতল, পুরনো চায়ের কাপ, টায়ার কিংবা ফেলে দেয়া লোহার পাইপ। কোন কিছুই বাদ যায়নি। সবই রয়েছে মিশরের নীলনদ কিনারের শহর গিজার একটি কর্মশালায়। এখানে রয়েছে ফেলনা জিনিস দিয়ে তৈরি  ব্যতিক্রমী কিছু শিল্পকর্ম। যা নজর কাড়বে সৃজনশীল ও সৌন্দর্য্যপিয়াসু যে কারোর।

পুরনো মানেই অকেজো নয়, সৃজনশীল হাতের ছোঁয়া পেলে ফেলনা জিনিসও শোভা বাড়ায়, হয়ে ওঠে আকর্ষনীয়।  অসাধারণ শিল্পকর্ম দিয়ে এটিই  প্রমাণ করেছেন রাজধানী কায়রোর তরুণ দুই শিল্পী।

প্রায় ২,৮০০ বছর আগে থেকেই মিসরীয়রা অন্য অনেক জন্তুর মতোই বিড়ালের উপাসনা করতেন৷ এই বিড়াল দেবতাই মিশরে বাস্তেত নামে পরিচিত। এখানে রয়েছে প্রাচীন মিশরীয় সংস্কৃতি বহনকারী বাস্তেত দেবীর ভাস্কর্য। যা বানানো হয়েছে পুরনো ৩ হাজার পিস লোহার টুকরো দিয়ে। ফেলনা লোহা দিয়ে তৈরি কোন শিল্পকর্ম যে এতো সুন্দর হতে পারে তা এটি না দেখলে বোঝার উপায় নেই।

মিশরীয় সভ্যতা সবার মাঝে জিইয়ে রাখতে ও ফেলনা জিনিস দিয়ে পরিবেশবান্ধব কিছু তৈরি করে সচেতনতা বাড়াতেই এমন ব্যক্তিক্রমী উদ্যোগ।

তরুণ শিল্পী ইবরাহীম সালাহ বলেন, 'আমরা বাস্তেতের ভাস্কর্যটি মাত্র ৩০ দিনে বানিয়েছে। ছয় মিটার উঁচু ও হাফ টন ওজনের এমন শিল্পকর্ম তৈরি খুব সহজ ছিল না। গোলাকৃতির লোহা সংগ্রহ করে সেগুলো জোড়া লাগিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে।'

আবর্জনার পুনর্ব্যবহার বিষয়ে সবার সচেতনতা বাড়াতেই আমরা এমন শিল্পকর্ম তৈরি শুরু করা হয়েছে বলে জানান কারুশিল্পী আহমেদ হুসেইন। তিনি বলেন, চীন যেমন ফেলে দেয়া জিনিসের পুনরায় ব্যবহার করার বিষয়ে যেমন তৎপর, অন্য দেশগুলোকেও এই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়া উচিত।

এমন সৃজনশীলতায় বরাবরই সহযোগিতা করে আসছে সরকার। এমনকি উৎসাহ দিতে কর্মশালাটি পরিদর্শনও করেছেন গিজার গভর্নর।

ভবিষ্যতে পাঁচ মিটার উচ্চতার ক্লিওপেট্রা বানাতে চান দুই তরুণ। আর ফেলনা লোহা দিয়ে বানানো ভাস্কর্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা দুই শিল্পীর লক্ষ্য। 

আরও পড়ুন