বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে তাকে শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের মুক্তি দিয়েছে সরকার।
দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মুক্তির পর থাকার জন্য তার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ প্রস্তুত করা হয়েছে। এরই মধ্যে ফিরোজা'র রান্নাঘর, থাকার ঘর, বসার ঘর, বারান্দা, বাসার লন, দরজা-জানালা, বিছানাপত্র, বাথরুম, ফ্যান-এসি, পর্দা— যা কিছু আছে, সব কিছু ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। বাসার সামনে-পেছনের বাগান, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএসফের গাড়িসহ সব পরিস্কার করা হয়েছে।
আজ বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, মানবিক বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মুক্ত থাকাকালীন খালেদা জিয়া তার ছোট ভাইয়ের জিম্মায় থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, 'বেগম জিয়াকে তার ছোট ভাইয়ের জিম্মায় ৬ মাস চিকিৎসার জন্য দেয়া হলো। তবে, এ সময় তিনি কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না।'
এর আগে, মঙ্গলবার (২৪শে মার্চ) বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দুই শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, খালেদা জিয়ার পরিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এবং আইনমন্ত্রীর কাছে উন্নত চিকিৎসার জন্য নির্বাহী আদেশে তার মুক্তি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মানবিক দিক বিবেচনা করে ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধরায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত রেখে নিজ বাসায় অবস্থান করে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে এবং এই সময়ে বিদেশে না যাওয়ার শর্তে তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা ভোগ করছেন ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে। খালেদা জিয়া ২০১৯ সালের পহেলা এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।