মুজিববর্ষে পাঁচ বিদেশি অতিথির শুভেচ্ছাবার্তা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন পাঁচ বিদেশি অতিথি। তারা হলেন- ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমেদ আল-ওথাইমান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুভেচ্ছা শুরু করেন বাংলায়। এরপর হিন্দীতে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মূল্যবোধ ভারতও ধারণ করে।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বের গুণেই মুক্তিকামী বাংলাদেশী বিশেষ করে তরুণরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ঔপনিবেশিক শাসন ও নিপীড়ন থেকে মুক্ত করে একটি প্রগতিশীল দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অগ্রগামী। বলা প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মূল্যবোধ ভারতও ধারণ করে।
মোদী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে চলছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আত্মীয়তার এবং এটি বিদ্যমান থাকবে।বাংলাদেশ এখন সব সূচকেই নতুন নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উচ্চতা ক্রমশ বাড়ছে।)
শুভেচ্ছা বার্তা দেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী। তার মতে, বাংলাদেশকে আত্ম-পরিচয় এনে দেয়ার জন্যই শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা।
নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণের পথে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের যে অপার সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে, নেপাল তার বিশ্বস্ত সঙ্গী।
বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করে চলেছে, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে গর্বিত ও অত্যন্ত খুশি হতেন। বাংলাদেশের জন্য আন্তরিক শুভ কামনা।
মুজিব জন্মশতবর্ষে বাংলাদেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ওআইসি মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমান। ওআইসি মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে আমি শুভেচ্ছা জানাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা তার বাবার আদর্শে কঠোর পরিশ্রম করে আজ বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্পৃতি ও শান্তি বজায় রেখেছে। যা আজ অনেকের কাছে রোল মডেল।
ভিডিও বার্তায় রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। শেখ মুজিবর রহমানের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য ও প্রত্যয় অনেককেই অনুপ্রেরণা যোগায়।
এ সময় রোহিঙ্গা সংকট সমাধান, উন্নয়নসহ সব ধরনের কাজে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ বলেও জানান তিনি।