চাকরি, জাতীয়, স্বাস্থ্য

মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

শামীম আহমেদ

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১৮ই ডিসেম্বর ২০২০ ১১:৪৩:২১ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ পরীক্ষায় কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার, প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বিভিন্ন ল্যাবে কাজ করা টেকনোলজিস্টদের অনেকে এখনো নিয়োগ না পাওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন।

প্রায় এক যুগ পরে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১২ ডিসেম্বর। ৯৯৮টি পদের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ২৩ হাজার ৫২২ জন। কিন্তু পরীক্ষার হলে মোবাইল ব্যবহারের নিয়ম না থাকলেও দেখা যায় অনেকে পরীক্ষার হলে বসেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দিয়েছেন।

সোহেল রানা নামে একজন পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্রের ছবি ফেসবুকে দিয়েছেন। জিয়াউর রহমান এবং মেরেদুল ইসলাম মাইদুল নামে দু'জন পরীক্ষার্থী তাদের ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ও সমাধানসহ পোস্ট দিয়েছেন। পরীক্ষা শেষের সাথে সাথে চাকরি প্রত্যাশীরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. হাবিবুর রহমানসহ কেউই ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।

এদিকে, করোনার শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রাষ্ট্রপতির প্রমোজ্জনায় ১৪৭ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টকে সরাসরি নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু সেখানে বাদ পড়েন করোনার শুরু থেকে কাজ করা আইইডিসিআর এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। পরে ডিবিসিসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রচারের পর আইইডিসিআর এর ৪৫ জন নিয়োগ দেয়া হয়, বাকি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের দেয়া হয় নিয়োগের আশ্বাস। এ বিষয়ে সরকারের দুই বিভাগ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, 'যারা বাদ পড়ে গিয়েছে এরা শুরু থেকে কার্যক্রমে ছিলো না। যখন অনেকে জানতে পারলো যারা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করছে, তাদেরকে আমরা নিয়োগ দিচ্ছি। তখন দেখা গেলো একদল এসে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ শুরু করে দিলো।'

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম বলেন, 'যতটুকিু আমি শুনেছি একটা নির্ধারিত সময় ছিলো নাম পাঠানোর। যারা পাঠিয়েছে তাদেরটা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে অনুমোদন পেয়েছে। যাদেরটা নির্ধারিত সময়ে পাঠানো হয়নি তাদের অনুমোদন হয়নি।'

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের পরিচালক ডা. এ কে এম শামসুজ্জামান খান জানান, 'নিয়োগের জন্য তালিকা তৈরি হবে সেটা তো নিয়মের মধ্যে হতে হবে। আনভেরিফাইড ইমেইল থেকে চাওয়া হয়েছে তালিকা। উদ্দেশ্য কি সেটা বলা ছিলো না।'

আরও পড়ুন