আন্তর্জাতিক, স্বাস্থ্য

মেদ কমবে ঝাল মরিচে!

মুহাম্মদ খালেদ হাসান

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১লা নভেম্বর ২০১৯ ০৮:৫৮:১০ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ক্যাপসেইসিন নামের একটি উপাদান থাকে বলেই মরিচ ঝাল হয়। মরিচে এর মাত্রা যত বেশি হবে ঝালের মাত্রাও ততই বাড়বে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই উপাদান মানুষের স্থূলত্বের সঙ্গে জড়িত হরমোনের কার্যকারিতার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

ভবিষ্যতে ঝালের গুণে কেবল খাবার মুখরোচক হয়ে উঠবে না বরং দেহের বাড়তি মেদ ঝরানোর পথ সহজেই খুঁজে পাবেন।

ভারতের সেন্ট্রাল ফুড টেকনোলজিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট বা সিএফটিআরআই'এর গবেষকরা দেখতে পেরেছেন অবেসট্যাটিন নামের শরীরের একটি হরমোনের কার্যকারিতা বাড়ায় ক্যাপসেইসিন। এতে শরীরের চর্বি ঝরতে সহায়তা করা হয়। কারণ এ হরমোনই 'পেট ভরে গেছে আর খেতে হবে না' বলে সংকেত পাঠায় মানব মস্তিষ্কে।

মানুষের হজমতন্ত্রে উৎপন্ন হয় অবেসট্যাটিন। মস্তিষ্কে সংকেত পাঠানোর মাধ্যমে আমাদের খাওয়া-দাওয়াকে গ্রহণ করার কাজে প্রভাব ফেলে এটি। এ ছাড়া শরীরের বিপাকীয় তৎপরতা বাড়িয়ে মেদ কমতে সহায়তা করে একই হরমোন। এ জন্য ভিন্ন ধরণের সংকেত অন্য কোষরাজির মাধ্যমে পাঠায়। সব মিলে মেদ কমানোর কাজে ক্যাপসেইসিন ব্যবহারের বিষয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন বিজ্ঞানীরা।

তবে অনেক সময়ই রোগীকে বাড়তি ঝাল খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসক। এ নিবন্ধ পড়েই মেদ কমানোর আশায় তেমন রোগীরা বাড়তি ঝাল খাওয়া শুরু করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। শুধু ঝাল নয়, চিকিৎসক রোগীকে অন্যান্য খাওয়ার বিষয়ে যে সব উপদেশ দেন তা কোনও অবস্থায় চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া ভাঙ্গা উচিত নয়। খাদ্য-গবেষণা বিষয়ক যে কোনও নিবন্ধ বা খবর পড়ার সময় মনে রাখবেন, এটি এখনও চিকিৎসাবিদ্যার বইতে অন্তর্ভুক্ত হয় নি। বা সবার জন্যও এটি প্রযোজ্য নয়। এ বিষয়ে শেষ কথা বলবেন, আপনার সুযোগ্য চিকিৎসক।

সেল বায়োক্যামেস্ট্রি অ্যান্ড বায়োফিজিক্স সাময়িকীয় সাম্প্রতিক সংখ্যায় ক্যাপসেইসিন সংক্রান্ত গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন