দিয়োগো ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে বুয়েন্স আয়ারসের মেডিক্যাল বিভাগ। তাদের দাবি, বাড়িতে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে ম্যারাডোনার মৃত্যু হয়েছিল।
মস্তিস্কে অস্ত্রোপচারের পর নিজের বাসায় যে ধরনের সেবা শুশ্রুষার প্রয়োজন ছিল- সেই ব্যবস্থায় যথেস্ট ঘাটতি মিলেছে। ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সেই অবহেলার কারণেই ম্যারাডোনা মারা গেছেন- এমনটি দাবি করেছে বুয়েন্স আয়ারসের মেডিক্যাল বিভাগ।
গেল বছরের ২৫ নভেম্বর বিশ্ব ফুটবলের মহানায়ক দিয়াগো ম্যারাডোনো নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। নভেম্বরের প্রথম দিকে মস্তিষ্কে রক্তজমাট বাঁধার কারণে অস্ত্রোপচার হয় ম্যারাডোনার। এই অস্ত্রোপচারের ৮ দিন পর গত ১১ নভেম্বর হাসপাতাল ছাড়েন তিনি। এরপর নিয়মিত স্থানীয় ক্লিনিকে থেরাপি এবং সঙ্গে বাসায় চলছিল তার চিকিৎসা। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার দুই সপ্তাহের মধ্যে আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বিশ্ব ফুটবলের সর্বশ্রেষ্ঠ এই তারকা। অভিযোগ ওঠে অবহেলার।
ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি চলতি বছরের মার্চে একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়। ৩০ এপ্রিল তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দেন। ৭০ পৃষ্ঠার এই রিপোর্টে পরিস্কার বলা হয়, ‘দিয়াগো ম্যারাডোনোর চিকিৎসকের দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা পর্যাপ্ত সেবা করেননি, চিকিৎসায় ঘাটতি ছিল, তারা ছিল বেপরোয়া। রিপোর্টে এও বলা হয়, ম্যারাডোনার মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা পর খবর প্রকাশ করা হয়।