বাংলাদেশ, ভ্রমণ, রাজধানী, লাইফস্টাইল

রাজধানীতে ওয়ানগালা উৎসব

কাজী শাহরিন হক

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১লা নভেম্বর ২০১৯ ০৭:৩৬:০৪ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

নতুন ফসল ঘরে উঠবে, তাই শস্যদেবতা মিসি সালজংকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসবের নাম ওয়ানগালা। আনন্দ উৎসবের আয়োজনে অংশ নেন নানা বয়সী মানুষ।

পাহাড়ের এই উৎসবে থাকে রং আর আনন্দের ছোঁয়া। সেই উৎসবের হাওয়া এবার লেগেছে শহরেও।

রাজধানীর বনানী সিটি কর্পোরেশনের মাঠে শুক্রবার ওয়ানগালা উৎসব তাই পরিণত হয় নানা জাতি-গোষ্ঠীর মিলনমেলায়।

গানে গানে শস্যদেবতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর মধ্য দিয়ে চলে উৎসব।  শত শত বছরের পুরোনো এই আনুষ্ঠানিকতা বৈচিত্র্যে ভরপুর।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন গ্রামের যারা রাজধানীতে বসবাস করেন, তাদের এক মিলন মেলায় পরিণত হয় এই ওয়ানগালা উৎসব।

ঢাকা ওয়ানগালা ২০১৯ উৎসবের আয়োজক শুভজিৎ সাংমা বলেন, "আমাদের পূর্বসূরিরা যারা দেবতার উপাসনা করতো সাংসারিক রীতিতে, আমরা এখন চেষ্টা করি ভিন্ন পরিস্থিতিতে ঢাকার পরিবেশে সেভাবে পালন করতে।  উৎসব উপলক্ষ্যে মিলনমেলা হয়, ঢাকাবাসী গারোরা সবাই একসাথে হই।  নেচে, গেয়ে আমরা চেষ্টা করি দিনটিকে মুখরিত করে রাখার।"

আমুয়া, রুদিতা, সা'সাত সো'আসহ নানান আনুষ্ঠানিকতা নতুন প্রজন্মের গারোদের শেকড়ের সন্ধানে ব্রতী হতে উৎসাহ যোগাবে বলে জানান অংশগ্রহণকারীরা।

দিনব্যাপী মেলার পাশাপাশি আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।  সকাল থেকেই নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেন উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা।

নিজ নিজ সংস্কৃতি ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ওয়ানগালা গারো সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলেও এ ধরনের অনুষ্ঠান সমাজের সকল মানুষের মধ্যে একটি মেলবন্ধন তৈরি করবে। উৎসবের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

'ধর্ম যার যার, উৎসব সবার'- এই ধারণার মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ের কথাও জানান তিনি। পাহাড়ের এই উৎসবে থাকে রং আর আনন্দের ছোঁয়া।

সেই উৎসবের হাওয়া এবার লেগেছে শহরেও।  রাজধানীর বনানী সিটি কর্পোরেশনের মাঠে শুক্রবার ওয়ানগালা উৎসব তাই পরিণত হয় নানা জাতি-গোষ্ঠীর মিলনমেলায়।

গানে গানে শস্যদেবতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর মধ্য দিয়ে চলে উৎসব।  শত শত বছরের পুরোনো এই আনুষ্ঠানিকতা বৈচিত্র্যে ভরপুর।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন গ্রামের যারা রাজধানীতে বসবাস করেন, তাদের এক মিলন মেলায় পরিণত হয় এই ওয়ানগালা উৎসব।

ঢাকা ওয়ানগালা ২০১৯ উৎসবের আয়োজক শুভজিৎ সাংমা বলেন, “আমাদের পূর্বসূরিরা যারা দেবতার উপাসনা করতো সাংসারিক রীতিতে, আমরা এখন চেষ্টা করি ভিন্ন পরিস্থিতিতে ঢাকার পরিবেশে সেভাবে পালন করতে।  উৎসব উপলক্ষ্যে মিলনমেলা হয়, ঢাকাবাসী গারোরা সবাই একসাথে হই।  নেচে, গেয়ে আমরা চেষ্টা করি দিনটিকে মুখরিত করে রাখার।“

আমুয়া, রুদিতা, সা'সাত সো'আসহ নানান আনুষ্ঠানিকতা নতুন প্রজন্মের গারোদের শেকড়ের সন্ধানে ব্রতী হতে উৎসাহ যোগাবে বলে জানান অংশগ্রহণকারীরা।

দিনব্যাপী মেলার পাশাপাশি আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।  সকাল থেকেই নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেন উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা।

নিজ নিজ সংস্কৃতি ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ওয়ানগালা গারো সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলেও এ ধরনের অনুষ্ঠান সমাজের সকল মানুষের মধ্যে একটি মেলবন্ধন তৈরি করবে। উৎসবের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’- এই ধারণার মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ের কথাও জানান তিনি।

আরও পড়ুন