বাংলাদেশ, জাতীয়, জেলার সংবাদ, রাজধানী, লাইফস্টাইল

রাজধানীতে পেঁয়াজের বাজার এখনো চড়া

কাজী শাহরিন হক

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ৬ই নভেম্বর ২০১৯ ০৪:১৭:৩৯ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

সরবরাহ কম থাকায় রাজধানীতে পেঁয়াজের বাজার এখনো চড়া। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পেঁয়াজের দর বেধে দেয়ায় ক্ষুদ্ধ কারওয়ানবাজারের পাইকারি বিক্রেতারা। এর প্রতিবাদ হিসেবে শ্যামবাজার থেকে পেঁয়াজ কেনা বন্ধ রেখেছেন তারা।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে একটি প্রতিষ্ঠানকে।

বুধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১২৮ টাকা এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৩ থেকে ১১৭ টাকা দরে। এছাড়া অল্প পরিমানে ভারতীয় পেঁয়াজ রয়েছে বাজারে, যা পাওয়া যাচ্ছে ১১০ টাকা করে।  তবে খুচরায় দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজার মনিটরিং করা হলে যদি পেঁয়াজের দরটা সহনশীলতার ভেতরে আসতো তাহলে কেনা-বেচায় স্থিতিশীলতা থাকতো।

এদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারিতে ৮০ টাকা এবং খুচরায় ১শ টাকা দরে বিক্রির যে নির্দেশনা এসেছে তা নিয়ে ক্ষুদ্ধ বিক্রেতারা।  ম্যাজিস্ট্রেটদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তাদের।

বিক্রেতারা বলছেন, ম্যাজিস্ট্রেটরা বাজারে এসে তাদের উপর সরকারের নির্ধারণ করা মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করার জন্য জোর খাটাচ্ছেন, কিন্তু তাদের কেনা পাইকারি দামের চেয়ে তা ২০ থেকে ২৫ টাকা কম।

চট্টগ্রামে নির্দেশনার পরও পাইকারি বাজারে ৮৫ টাকা করে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।  এছাড়া মিয়ানমারের ৪০ টাকা দরের পেঁয়াজ মিলছে ১শ’ টাকায়, তাই অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হচ্ছে বিক্রেতাদের।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন, "মিশর থেকে এবং চীন থেকে আমাদের আমদানিকৃত পেঁয়াজ ইতোমধ্যে বাজারে ঢুকতে শুরু করেছে। সুতরাং মিশর ও চীনের পেঁয়াজ যাতে ৫০ টাকার উপরে ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজারে বিক্রয় না করে আমরা এটার বিষয়ে আজকে তাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছি।"

সংকট কাটাতে মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে, যার মধ্যে ১০ হাজার টন এ মাসে, এবং ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসবে সামনের মাসে।

আরও পড়ুন