কোনও রকম সরকারি সহায়তা ছাড়াই নড়াইলে গড়ে উঠেছে দেশীয় মাছের শুঁটকি পল্লি। প্রতি মৌসুমে প্রায় ৪ কোটি টাকার শুঁটকি বেচাকেনা হচ্ছে এই পল্লিতে।
নড়াইলের ইছামতি, শোলুয়া চাচুড়ী, আড়ংগাছা, নলা বিলসহ হলদা, হালনা ধোপাদা খালে কার্তিক থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত প্রচুর পুঁটি, টেংরা, শোলসহ দেশি নানা প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে।
এসব মাছ সংরক্ষণে নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের শোলুয়ার বিলের ধারে গড়ে উঠেছে শুঁটকি পল্লী। কোন প্রকার ওষুধ, মাচা বা শেড ছাড়া সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে সংরক্ষিত হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যে এর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এখানকার চাতাল থেকে মৌসুমে ৪/৫টি চালানে প্রায় ৩৫শ থেকে ৪ হাজার মণ শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে।
আরো সুন্দর ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত করার প্রশিক্ষণের পাশপাশি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার আশ্বাস দিয়েছেন নড়াইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: ফারুকুল ইসলাম।
এদিকে, পিরোজপুরে প্রতি বছরই বাড়ছে শুঁটকির ব্যবসা। সেইসাথে তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান।মাস ও দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে এই শুঁটকি পল্লীতে কাজ করছেন স্থানীয়রা।
রাসায়নিক দ্রব্য মুক্ত এবং স্বাস্থ্যসম্মতভাবে শুঁটকি উৎপাদনে সহায়তা করছে মৎস্য বিভাগ।
কার্তিক মাস থেকে শুরু হওয়া এ ব্যবসা চলে চৈত্র মাস পর্যন্ত। আর এখানে প্রতিবছর ১শ টনের বেশি শুটকি উৎপাদিত হয় যার বাজার মূল্য অন্তত ৫ কোটি টাকা।