যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুত ২০ কোটি ডলারের সামরিক সহযোগিতা প্যাকেজের প্রথম চালান ইউক্রেন পৌঁছেছে।
ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে এই সামরিক সহযোগিতা কিয়েভ পৌঁছালো। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন কিয়েভ সফর করেন।
ডিসেম্বরে ইউক্রেনকে ২০ কোটি ডলার সামরিক সহযোগিতার প্যাকেজটি অনুমোদন করে ওয়াশিংটন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মার্কিন দূতাবাস ফেসবুকে লিখেছে, ইউক্রেনের সশস্ত্রবাহিনীকে এমন সহযোগিতা দেওয়া অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) ইউক্রেনের মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওয়াশিংটনের পাঠানো সামরিক সহায়তা কিয়েভে পৌঁছেছে। এতে সম্মুখসারির প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জন্য ২ লাখ পাউন্ডের মতো প্রাণঘাতী বিস্ফোরক, গোলাবারুদ রয়েছে।
এর আগে, গত সপ্তাহে ইউক্রেনে ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাজ্য। এছাড়া ইউক্রেনে স্টিংগার আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র এবং জ্যাভলিন ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলো। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে মার্কিন অনুমোদন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বাল্টিক দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের জরুরি সামরিক চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত সহায়তা হিসেবে ২০ কোটি ডলার অনুমোদন দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এর আওতায় আগামী সপ্তাহগুলোতে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা ইউক্রেনে পাঠানো হবে।
সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ না দেয় এমন নিশ্চয়তা দাবি করে সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, রাশিয়া যে কোনো সময় ইউক্রেনে সামরিক হামলা চালাতে পারে।
গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেন-রাশিয়া উত্তেজনার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তার অনুমান পুতিন ইউক্রেনে হামলা করবেন—কারণ তাকে কিছু একটা করতে হবে। পশ্চিমা শক্তিকে পরীক্ষায় ফেলার জন্য রাশিয়াকে চরম মূল্য দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন বাইডেন। তবে ইউক্রেনে কোনো সামরিক হামলা করা হবে না বলে বরাবর বলে আসছে মস্কো।