সর্বাত্মক লকডাউনে আয় রোজগার বন্ধ হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংকটের মুখোমুখি হতে হবে রংপুরের নিম্ন আয়ের মানুষের।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় চলছে দেশব্যাপী লকডাউন। ১৪ই এপ্রিল থেকে শুরু হবে সর্বাত্মক লকডাউন। এতে শঙ্কিত রংপুরের নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। বলছেন, আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেক বড় সংকটের মুখোমুখি হতে হবে তাদের। তবে, লকডাউনের সময়টায় সরকারের সুষ্ঠু পরিকল্পনার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
দারিদ্র বেশি এমন ১০টি জেলার মধ্যে ৫টিই রংপুর বিভাগে। দীর্ঘ সময়ে ভারি শিল্প স্থাপিত না হওয়া এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
করোনা দুর্যোগের শুরু থেকেই সব থেকে বেশি দুর্ভোগে উত্তরের নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এই অঞ্চলে শতকরা ৭০ শতাংশ মানুষ দৈনন্দিন কাজের উপর নির্ভরশীল। প্রথম দফা লকডাউনের সময়টাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে সব থেকে বেশি সংকটে ছিলেন তারাই।
অনেকেই সরকারি সহায়তা পেলেও বেশিরভাগই ছিলেন এর বাইরে। সে কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণায় শঙ্কিত তারা।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।