একজন সাধারণ মানুষকে বিয়ে করা আর একজন শিল্পীকে বিয়ে করার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। একজন শিল্পী আর দশজন সাধারণ মানুষের মতো হন না, তাদের জীবন যাপন একই ধরনের হয় না। আমার মনে হয়, একজন শিল্পীকে বিয়ে করার আগে তার লাইফস্টাইলকে স্টাডি করে নেওয়া প্রয়োজন, না হলে হুট করে বিয়ে করে হুট করেই ডিভোর্স হয়ে যাবে।
এমনটাই মনে করেন নৃত্যশিল্পী, মডেল ও উপস্থাপিকা বারিশা হক বারিশ। সোমবার দুপুরে প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে এমন অভিমত জুড়ে দিলেন সময়ের এই জনপ্রিয় উপস্থাপিকা। গতকাল ছিল বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। আর এই দিনে নিজের প্রিয় মানুষকে সময় দিতে পারেননি। তার পরেও প্রিয় মানুষটি তাঁর জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বসেছিলেন। অভিভূত হয়েছিলেন বারিশ। নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে এই প্রকাশ ছিল, সেই সাথে অন্যদের জন্য সতর্কবার্তাও।
এটিএন বাংলার ‘নূপুরের ছন্দে’ অনুষ্ঠানে নাচ করতে গিয়ে সেই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা দিয়ে উপস্থাপক হিসেবে যাত্রা হয় বারিশা হকের। ২০০৮ সালে বিটিভিতে কুইজ শো এবং বিতর্কে অংশ নেন বারিশা। বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে ক্লাসিক্যাল নৃত্যে দীক্ষা নেন। এভাবেই মূলত শোবিজ অঙ্গনে তার যাত্রা। অল্পদিনের পথচলায় নৃত্য ও উপস্থাপনার পাশাপাশি বেশ কিছু নাটকেও অভিনয় করেছেন তিনি। প্রথম নাটকে অভিনয় করেন আরটিভিতে প্রচারিত আশফাকুর রহমান রচিত ও পরিচালিত ‘মন পাগল’-এ। পরে ‘হাসির পাত্রী’ নাটকেও অভিনয় করেন।
বারিশ ফেসবুকে লিখেছেন, 'সকাল আটটায় বের হয়েছিলাম শো শেষ করে প্রায় বারোটায় বাসায় ঢুকলাম। যারা আর্টিস্টদের লাইফ পার্টনার হবেন, আগেই সতর্কবাণী রইল এইসকল বিশেষ দিনে মাইন্ড করা যাবে না। যা-ই হোক, অবশেষে রাত বারোটা এক মিনিটে দেখা হলো আমার ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে। ধন্যবাদ সারা দিন অফিস করে আমার অপেক্ষায় থাকবার জন্য।'
বারিশের হবু স্বামী আলভি রাইহান সীমান্ত এখনো শিক্ষার্থী। ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেসে ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করছেন। বারিশ বলেন, আমরা সমবয়সী। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ পড়েছি। আমি মিডিয়ায় ঢুকে গেলাম। আর ও এখনো এমবিএ পড়ছে। পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। ওর পড়াশোনা শেষ হলেই বিয়ে হবে।'