এই অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা দক্ষিনপাড়া বালিকা মাাদ্রাসায় নাইট কোচিংয়ের এক দাখিল পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অন্যদিনের মতো গত ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থী তাদের মাদ্রাসা শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কোচিংয়ে যায়। কোচিং চলাকলে মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষক নজরুল ইসলাম মেয়েটিকে চকোলেট খেতে দেয়। চকোলেট খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে জ্ঞান হারালে মাদ্রাসার শিক্ষক তরিকুল ইসলাম তাকে ধর্ষণ করে টয়লেটের পাশে ফেলে রেখে যায়।
কোচিং শেষে মেয়েটি বাসায় না ফেরায় রাতে স্বজনরা তার খোঁজে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখেন সেখানে কেউ নেই। একপর্যায়ে টয়লেটের গলিতে তাকে রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। জ্ঞান না ফেরায় রাত দুটার দিকে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ২ অক্টোবর বাড়িতে ফিরে মেয়েটি তার বাবা-মাকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।
এলাকাবাসী জানায়, এই মাদ্রাসায় এর আগেও এধরনের ঘটনা তিন ছাত্রীর সাথে ঘটেছে। স্থানীয় ভাবে মিমাংশা করে শিক্ষকদের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাদ্রাসায় হামলা করে সুপারকে অবরুদ্ধ করে রাখে ও শিক্ষকদের বিচার দাবি করে।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনা গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঘটলেও ৩রা অক্টবার বৃহস্পতিবার রাতে মনিরামপুর থানায় দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান, যশোর মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান।
উল্লেখ্য, গত ১ মাস ধরে ওই মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার্থীদের জন্য সান্ধ্যকালীন কোচিং চালু করে কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন দুজন করে শিক্ষক ছাত্রীদেরকে কোচিং করান। ৩০ সেপ্টেম্বর কৃষি শিক্ষক তরিকুল ইসলাম ও সহকারী মৌলভী শিক্ষক নজরুল কোচিং করান।