খুলনায় পর্দা উঠলো শেখ রাসেল ইন্টারন্যাশনাল টেনিস টুর্নামেন্টের। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকাকে বাদ দিয়ে খুলনায় আন্তর্জাতিক টেনিস আসর আয়োজন নিয়ে শুরু থেকেই আগ্রহ দেখিয়েছে ক্রীড়ামোদীরা। খুলনায় বড় আন্তর্জাতিক আসর আলো কেড়েছে প্রত্যাশামতোই।
১৮ দেশের ২৪ ক্লাবের ৪৮ খেলোয়াড় অংশ নিচ্ছে খুলনার এই আন্তর্জাতিক টেনিস টুর্নামেন্টে। সব খেলা হবে খুলনার সার্কিট হাউস ময়দান টেনিস কমপ্লেক্সে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মেধা বিকাশের জন্য পড়াশোনা ও সাংস্কৃতিক চর্চার পাশাপাশি খেলাধুলার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
"খেলাধূলার ক্ষেত্রে যাতে বহুমুখী পরিচর্যা হয় সেদিকে বিশেষভাবে আমরা দৃষ্টি দিয়েছি, এবং সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শুধু পড়াশোনা করলেই হবে না, সাথে সাথে তাদের খেলাধূলা, তাদের সংস্কৃতি চর্চা, তাদের মেধা-মনন বিকাশের সুযোগ, সেগুলা আমাদের করে দিতে হবে।"
তরুণদের মেধা-মননের বিকাশ ঘটিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই সরকারের লক্ষ্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
"আমরা চাই আমাদের দেশের মানুষ, বিশেষ করে যুব সমাজ, তরুণ, শিশুকিশোর বয়স থেকে খেলাধূলার প্রতি আরো মনোনিবেশ করবে, যা তাদের চরিত্র গঠনে সহায়ক হবে, দৃঢ় চরিত্রের অধিকারী করবে, আত্মবিশ্বাসী করবে, এবং দেশকে উপযুক্তভাবে তারা গড়ে তুলতে পারবে।"
বাংলাদেশে টুর্নামন্টে খেলতে আসা বিদেশি প্রতিযোগী ও অফিসিয়ালদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
"সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক- এ সবকিছুর হাত থেকে আমাদের এই তরুণ সমাজকে দূরে রাখার কাজটা করতে গেলে যতো বেশি তাদের খেলাধূলা এবং সংস্কৃতি চর্চার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যতো বেশি সম্পৃক্ত করতে পারব, ততোই তারা এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকবে।"
এরপর শেখ রাসেল ইন্টারন্যাশনাল কাপ টেনিস টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
তিনদিন আগে ঢাকায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উন্মোচন করা হয় টুর্নামেন্টের লোগো। টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে ১৮ নভেম্বর।