অর্থনীতি

শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে সবুজ ও পরিবেশবান্ধব

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ২৯শে এপ্রিল ২০২১ ০৫:২৯:১৮ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

শ্রীহট্টকে সবুজ ও পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হবে, এখানে পরিবেশ দূষণের কোনও সুযোগ রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন বেজা'র চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, ''মৌলভীবাজার শেরপুরে সবুজ ও পরিবেশবান্ধব শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পরিত্যক্ত কেমিক্যাল, বর্জ্য ও পানি পরিশোধনের ব্যবস্থাসহ পরিবেশ দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা থাকবে।

পরিবেশ দূষণের কোনও সুযোগ রাখা হবে না। তারপরও যদি কেউ এ নিয়মের ব্যাতিক্রম করেন তখন সে শিল্প-কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে।'' মৌলভীবাজার শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প-প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন অনুষ্টানে এসব কথা বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে তিন বিনিয়োগকারীর চারটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজের শুভসূচনা হয়। প্রতিষ্ঠানসমূহ হল পলমল গ্রুপের আয়েশা ক্লথিং লিমিটেড ও আসোয়াদ কম্পোসিট লিমিটেড, গ্রেট ওয়াল সিরামিকস লিমিটেড, এবং ডাবল গ্লেজিং লিমিটেড। আগামী বছর থেকে উৎপাদন শুরুর লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এবং সীমিত পরিসরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, বিনিয়োগকারীগণ, মৌলভীবাজার চেম্বার অফ কমার্সের সদস্যবৃন্দ, জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে ৩৫২ একর জমির উপর অবস্থিত। যার পূর্বে সিলেট, পশ্চিমে হবিগঞ্জ, উত্তরে সুনামগঞ্জ ও দক্ষিণে মৌলভীবাজার জেলা। শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ ও প্রায় ৪৪,০০০ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ৬টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ২৩১ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যেখানে ১৯টি শিল্প কলকারখানা নির্মাণ করা হবে। ৬টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে উল্লিখিত চারটি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪২ একর জমিতে শিল্প কারখানা নির্মাণকাজ শুরু করেছেন। এতে ১১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে সাড়ে পাঁচ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এছাড়া অপর দু'টি প্রতিষ্ঠান হল আব্দুল মোনেম লিমিটেড এবং ডিবিএল গ্রুপের ফ্ল্যামিঙ্গো ফ্যাশন, তাদেরও পরিকল্পনা রয়েছে এ বছরের মধ্যে শিল্প নির্মাণের।

এ অঞ্চলে ইতোমধ্যে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ প্রদানের কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

বিনিয়োগকারীরা বলেন, এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সবার আগে শিল্প নির্মাণ করতে পেরে তারা আনন্দিত।  এখানে গড়ে ওঠা শিল্পাঞ্চল হবে অত্যাধুনিক যা ১০০ শতাংশ কমপ্লায়ান্স নিশ্চিত করে নির্মাণ করা হবে। শিল্প পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলসমুহে দক্ষ এবং চাহিদাভিত্তিক জনবল তৈরির জন্য ইতোমধ্যে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের হাত ধরে এ জনপদ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ সময় বিনিয়োগকারীদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

আরও পড়ুন