নেপালে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। দেশটিতে একদিনে শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৮শ ৩১জন। মারা গেছে ৩৫জন। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ভারতীয় করোনার ধরন পাওয়াতেই নেপালে এত দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার ভাইরাস। এ পরিস্থিতিতে ১৫ দিনের জন্য লকডাউন দিয়েছে দেশটি।
কঠোর লকডাউন ও বিধিনিষেধের পর সংক্রমণ কমে আসায় চলতি বছরের শুরুতে অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছিল হিমালয়কন্যা নেপাল।
তবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ ভাবে বাড়তে থাকায় চলতি মাসের শেষার্ধে এর প্রভাব পড়ে নেপালে। কয়েকদিনের মধ্যেই দেশটিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ।
গত ১০দিনে দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে শতাধিক। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুসহ অন্যান্য শহরের হাসপাতালগুলোতে পূর্ণ হয়ে গেছে করোনা রোগীতে। হাসপাতালে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। রোগীরা জানান,'শ্বাস কষ্ট হচ্ছিলো বলে, আমার স্বামীকে হাসপাতাল নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু ডাক্তার তাকে দেখছেন না। সবাই খুবই ব্যস্ত এখানে।'
আরেক রোগীর স্বজন বলেন,'হাসপাতালগুলো পূর্ণ হয়ে গেছে করোনা রোগীতে। করোনার আরেকটি ঢেউ শুরু হয়েছে নেপালে। এখন যারাই সংক্রমিত হচ্ছে তারা দ্রুত অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এবং হাসপাতালে আসতে হচ্ছে।'
এদিকে, সংক্রমণ রোধে হিমশিম খাচ্ছে নেপাল সরকার। বৃহস্পতিবার থেকে দেশটিতে ১৫ দিনের লকডাউন দেয়া হয়েছে।
দেশটির সংক্রমণ বিষয়ক অধিদপ্তর জানিয়েছে।, এরইমধ্যে ব্রিটিশ ধরন এবং ভারতে শনাক্তকৃত হওয়া ডাবল মিউট্যান্ট ধরনের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে নেপালে। এবং ভয়াবহ দিক হচ্ছে, শনাক্ত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সসীমার মধ্যেই।
নেপালে এরই মধ্যে ১৯ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। এসব টিকার উৎস ছিল মূলত ভারত ও চীন। বর্তমানে ভারত থেকে বন্ধ থাকায় নেপালের টিকা সরবরাহ কার্যক্রম চালু রাখা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।