ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদি তার দেশ এবং সিরিয়ার সীমান্তবর্তী আল-কাইয়িম ক্রসিং পয়েন্ট খুলে দেয়ার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে কর্তৃত্ব দিয়েছেন। সীমান্তে দু দেশ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার পর এ পদক্ষেপ নেয়া হলো বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইরাকের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইএনএ জানিয়েছে, ইরাকের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর প্রধান গতকাল বলেছেন যে আগামী সোমবার দু'দেশের ভ্রমণকারীদের জন্য আল-কাইম সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেয়া হবে।
আল-কাইম সীমান্ত ক্রসিং ইরাকের আনবার প্রদেশের আল-কায়িম শহরকে এবং সিরিয়ার দেইর আজ-যোর প্রদেশের বুকামাল শহরকে সংযুক্ত করেছে।আল-কায়েদা এবং উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের বিরুদ্ধে ইরাককে সহযোগিতা করার জন্য ২০১৩ সালে সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়া হয়। আল-কায়িম এবং বুকামাল শহর কৌশলগত সাপ্লাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ রুট। তবে এ ক্রসিং শুধু সরকারি এবং সামরিক যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
যখন সিরিয়া এবং ইরাকের বেশিরভাগ এলাকায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হাত থেকে মুক্ত করা হয়েছে তারপর এই সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হলো।
এর আগে, গত বছরের অক্টোবর মাসে সিরিয়া সরকার জর্দান সীমান্তবর্তী নাসিব পয়েন্ট খুলে দিয়েছিল। কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল (শুক্রবার) ইহুদিবাদীরা থেকে সিরিয়া সীমান্তে মোতায়েন ইরাকের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট বা হাশ্দ আশ-শাবির একটি ঘাঁটির ওপর হামলা হয়েছে।
একইভাবে বুকামাল শহরের কাছে মোতায়েন করা হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের ওপর হামলা হয়েছে। এসব যোদ্ধা ওই এলাকার নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে সাহায্য করছে। ইহুদিবাদী ইসরাইল মূলত এসব হামলা চালিয়ে আসছে তার কারণ হচ্ছে ইরাক এবং সিরিয়ায় উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দায়েশের পরাজয় মেনে নিতে পারে নি তেল আবিব। এছাড়া, দায়েশ সন্ত্রাসীদের মনোবল চাঙ্গা করতে চায় ইসরাইল।