সেলফি দুর্ঘটনা এড়াতে পাহাড়, উঁচু দালান, ব্রীজ বা ঝুঁকিপূর্ণস্থানে ‘নো সেলফি জোন’ গড়ে তোলার আহ্বান।
একটি অসাধারণ সেলফি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রশংসার দাবিদার। তাই লাইক, কমেন্ট আর প্রশংসার জন্য অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেলফি তোলেম। আর তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে জীবন হারাচ্ছেন শত শত মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে সেলফি তুলতে গিয়ে ২৫৯ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। যার অর্ধেকই ভারতীয় বাসিন্দা বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট সেলফি দুর্ঘটনা একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে গত বছরে। সেখানে দেখা যায় সেলফি তুলতে গিয়ে ভারতেই মৃত্যু হয়েছে ১৫৯ জনের।
গেল রবিবার বিকেলে ভারতের তামিল নাড়ুর উথানগারাই এলাকায় পাম্বার বাঁধের কাছে এক নবদম্পতির সঙ্গে হাত ধরে সেলফি তোলার সময় একই পরিবারের ৪ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সেলফি তোলার সময় হঠাৎ করেই এক কিশোরের পা পিছলে যায়। এতে তার হাত ধরে থাকা বাকিরা পানিতে পড়ে গেলে নববধূসহ চারজনের মৃত্যু হয়। এরপরই আবারও আলোচনায় আসে সেলফি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হার নিয়ে।
সেলফি দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে শীর্ষ দেশগুলো হল- রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে তুলনামূলক বেশি সেলফি তুললেও ছেলেরা ঝুঁকি নেয় বেশি। তাই সেলফি তোলার সময় দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ৭২ শতাংশই ছেলে সেলফি শিকারী। আর এদের বয়স ত্রিশের নিচে।
সেলফি তোলার সময় ডুবে মারা যাওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। এরপরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মানুষ মারা যায় গাড়ি দুর্ঘটনায়। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে সেলফি দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় বন্দুকের গুলিতে।
এদিকে, সেলফি দুর্ঘটনা এড়াতে পাহাড়, উঁচু দালান, ব্রীজ বা ঝুঁকিপূর্ণস্থানে ‘নো সেলফি জোন’ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনটিতে। তবে, ইতোমধ্যেই ভারতের কিছু পর্যটন স্থান ‘নো সেলফি জোন’ হিসেবে মার্ক করা হয়েছে।