রাজশাহী শহরে বাসাবাড়িতে লাগানো হচ্ছে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার।
এ নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলছেন, প্রিপেইড মিটার বিদ্যুৎসাশ্রয়ী। আবার অনেকেই এই মিটার নিয়ে সন্দেহ করছেন। তাদের অনেকের ধারণা, টাকা ফুরোলেই বিদ্যুৎ চলে যাবে আর তখন ভোগান্তিতে পড়বেন তারা। প্রি-পেইড মিটারের বিরোধিতা করে এরই মধ্যে মানববন্ধন করেছে একটি সংগঠন।
গত দুই মাস ধরে গ্রাহকদের বাসাবাড়িতে বসানো হচ্ছে প্রিপেইড ইলেকট্রিক মিটার। এই মিটার সম্পর্কে গ্রাহকদের আগে থেকে কিছু জানায়নি নর্দান ইলেকট্রিসিটি কোম্পানি লিমিটেড-নেসকো। প্রচার না থাকায় মিটার নিয়ে নানা ভীতি ও সন্দেহ রয়েছে গ্রাহকদের মাঝে।
মিটার নিয়ে বিভ্রান্তির কারণে সম্প্রতি রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ নেমেছে আন্দোলনে। অবিলম্বে প্রিপেইড মিটার অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, "এই মিটার আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হলে আমরা সব্দিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হব। রাজশাহীর সর্বস্তরের জনগণ এটি প্রত্যাখ্যান করেছে।"
তবে নেসকো বলছে, শুধু রাজশাহী নয়, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্যই প্রিপেইড মিটার সারা দেশেই লাগানো হচ্ছে। জনগণের মাঝে ভীতি দূর করতে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তারা।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) এর নির্বাহী পরিচালক আব্দুল আজিজ বলেন, "আমাদের লিফলেটে, ব্যানারে সব জায়গায় আমরা দেখাচ্ছি। আমরা সভা করেছি। ২২ জেলার ২৪টি সংগঠনের লোক এখানে ছিল। এরপর তো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে পারবো না।"
রাজশাহী শহরের ২১শ' বাসায় বসানো হয়েছে প্রিপেইড মিটার। প্রযুক্তিগত সুবিধা থাকলেও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য যখন-তখন টাকা তুলে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু রাখা বেশ কঠিন বলে মনে করেন তারা।